জেলা সভাপতি বদল বিতর্কের মধ্যেই কড়া বার্তা শুভেন্দুর। “নিজের এলাকায় সংগঠন শক্তিশালী করুন। মঞ্চে বড় বড় ভাষন দিলে হবে না। নিজের এলাকা আগে ঠিক করুন। তারপর জিতে মঞ্চে ভাষন দেবেন।” জেলা সভাপতি বদল নিয়ে বিতর্কের মধ্যেই দলের নেতা-কর্মীদের এ বার্তাই দিতে দেখা গেল বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে। প্রসঙ্গত, পঞ্চায়েতে ভোটে (Panchayat Election) মোটের উপর ফল ভাল হয়নি বিজেপির। সে কারণেই লোকসভা ভোটের আগে কপালে চিন্তার ভাঁজ পদ্ম নেতাদের। এরইমধ্যে শহরে এসেছেনি বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। এদিন সায়েন্স সিটিতে পঞ্চায়েত ভোটে জয়ী ও পরাজিত প্রার্থীদের সঙ্গে বৈঠকও করেন। কীভাবে আগামীতে সংগঠন আরও মজবুত করা যায়, কীভাবে আঞ্চলিক স্তরে আগামী লোকসভা ভোটের রণকৌশল ঠিক করা যায় সে বিষয়ে নানা পরামর্শ দেন। ছিলেন শুভেন্দুও। তাঁর বার্তা নিয়েই এখন জোর চর্চা বঙ্গ বিজেপির অন্দরে।
এই পরিস্থিতি দাঁড়িয়ে যখন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা কলকতা সফর করছেন সেই সময় পুুরুলিয়ার পাঁচ বিধায়ক সরাসরি চিঠি লিখলেন অমিত শাহকে। দাবি একটাই, বদলাতে হবে পুরুলিয়ার নতুন জেলা সভাপতি। তাতেই অস্বস্তি বেড়েছে পদ্ম শিবিরের অন্দরে। এইভাবে এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে জেলা নেতৃত্ব ও সর্বভারতীয় নেতৃত্ব সেটাই এখন দেখার।
আরও পড়ুন – কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর হাত থেকে পদক নেবেন বাংলার ৮ পুলিশ আধিকারিক, রয়েছেন এক…
এদিকে জেলা সভাপতি বদল বিতর্ক যেন কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না বিজেপির। বেশ কিছু জেলা সভাপতি পরিবর্তন হওয়ার পর থেকে বিক্ষোভ বিজেপির অন্দরে। বিজেপির দলীয় কার্যালয়গুলিতে যেমন বিক্ষোভ হচ্ছে তেমনই নতুন করে বারবার জেলা সভাপতিদের নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। প্রশ্ন তোলা হচ্ছে তাঁদের কর্মদক্ষতা নিয়ে। কেউ বলছেন, যাঁদের নতুন জেলা সভাপতি করা হয়েছে তাঁদের কেউ চেনে না, কেউ বলছেন তাঁদের থেকে অনেক যোগ্য ব্যক্তি ছিল দলে। তাও তাঁদের জেলা সভাপতি করা হয়নি।