রাজ্য – অবশেষে চলতি সপ্তাহেই দক্ষিণবঙ্গে বর্ষার আনুষ্ঠানিক আগমন ঘটতে চলেছে। মৌসম ভবন সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই মৌসুমি বায়ুর অনুকূল পরিবেশ তৈরি হয়েছে রাজ্যে। দক্ষিণবঙ্গ ও উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় শুরু হয়ে গিয়েছে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ঝড়বৃষ্টি। সপ্তাহজুড়ে এই প্রবণতা অব্যাহত থাকায় তাপমাত্রা ৩–৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত কমতে পারে বলে পূর্বাভাস।
উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরের উপর ঘূর্ণাবর্ত, মধ্য মহারাষ্ট্র থেকে অসম হয়ে বাংলাদেশ পর্যন্ত বিস্তৃত অক্ষরেখা এবং পশ্চিমী ঝঞ্ঝার প্রভাবে সারা উত্তর ও পূর্ব ভারতে সক্রিয় মৌসুমি বায়ু তৈরি হয়েছে। তারই প্রভাবে আজ, সোমবার থেকে দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, কলকাতা ও আশপাশের জেলাগুলিতে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। হাওয়ার গতিবেগ থাকতে পারে ঘণ্টায় ৩০–৫০ কিলোমিটার।
মঙ্গলবার ও বুধবার দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সব জেলাতেই ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি হয়েছে। বৃহস্পতি ও শুক্রবার পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম ও মুর্শিদাবাদে বৃষ্টির দাপট বাড়তে পারে। কলকাতায় আজ আংশিক মেঘলা আকাশ ও আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি বজায় থাকবে। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৭.৭ ডিগ্রি এবং আপেক্ষিক আর্দ্রতা ৭৫% থেকে ৯১% পর্যন্ত রেকর্ড করা হয়েছে।
উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়ি, মালদহ, দিনাজপুর, আলিপুরদুয়ার, দার্জিলিং-সহ বিভিন্ন জেলায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছে গোটা সপ্তাহজুড়ে।
ভারতের অন্যান্য অংশেও বর্ষা প্রবলভাবে সক্রিয়। কর্নাটক, কঙ্কণ, কেরল, গুজরাট, ছত্তীসগড়, অসম, ত্রিপুরা, ওড়িশা ও তামিলনাড়ুতে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বেশ কয়েকটি রাজ্যে ৫০-৬০ কিমি/ঘণ্টা বেগে দমকা হাওয়ার পূর্বাভাসও দেওয়া হয়েছে।
রাজ্য প্রশাসন ও সাধারণ মানুষকে আগাম সতর্কতা অবলম্বন করতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
