স্বাস্থ্য – ঢেরস শুধু একটি সাধারণ সবজি নয়, বরং স্বাস্থ্যের জন্য এটি এক অনন্য উপকারী খাদ্য। চিকিৎসক ও পুষ্টিবিদদের মতে, ঢেরস নিয়মিত খেলে শরীরে বিভিন্ন ধরনের উপকার পাওয়া যায়। ঢেরসে থাকা উচ্চমাত্রার ফাইবার, ভিটামিন সি, ভিটামিন কে, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ফোলেট শরীরকে ভিতর থেকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, ঢেরস রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য এটি এক প্রাকৃতিক উপায়ে সুগার নিয়ন্ত্রণের সহায়ক। ঢেরসের ফাইবার হজমশক্তি বাড়ায় এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। এছাড়া ঢেরসে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
ঢেরসে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন কে থাকায় এটি হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্যও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নিয়মিত ঢেরস খাওয়ার ফলে হাড় মজবুত থাকে এবং অস্টিওপোরোসিস প্রতিরোধে সাহায্য করে। এছাড়া গর্ভবতী মহিলাদের জন্য ঢেরস বিশেষ উপকারী, কারণ এতে থাকা ফোলেট শিশুর স্নায়ুতন্ত্রের সঠিক বিকাশে সাহায্য করে।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, ঢেরস কোলেস্টেরল কমাতেও কার্যকর। এটি শরীর থেকে টক্সিন বের করে দেয় এবং ত্বক ও চুলের স্বাস্থ্যের উন্নতিতে ভূমিকা রাখে।
এই কারণে খাদ্যতালিকায় ঢেরস রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদরা। ঢেরস ভাজা, সেদ্ধ বা ঝোলের মাধ্যমে খেলে শরীর পায় নানান পুষ্টিগুণের সংমিশ্রণ। নিয়মিত এই সবজি খেলে মিলতে পারে বহু রোগ প্রতিরোধের শক্তি। তাই ঢেরসকে ‘সবুজ স্বাস্থ্যরক্ষক’ বললে ভুল হবে না।
