২৮ জুন ২০২১ :
দেশের জিডিপি নেমেছে মাইনাস ৭.৩ শতাংশে। মুদ্রাস্ফীতি বাড়ছে লাফিয়ে । করোনা আবহে কার্যত স্তব্ধ দেশের অর্থনীতির চাকা।এবার অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে একাধিক ঘোষণা করলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। ৮ ঘোষণায় দেশের অর্থনীতির ‘রিলিফ প্যাকেজ’ দিলেন নির্মলা। এর আগেও করোনার প্রথম ঢেউয়ের সময় রিলিফ প্যাকেজ নিয়ে এসেছিল অর্থমন্ত্রক।
১. করোনায় প্রভাবিত ক্ষেত্রগুলির জন্য ১.১ লক্ষ কোটি টাকার ঋণ ঘোষণা অর্থমন্ত্রকের।
২. এমার্জেন্সি ক্রেডিট লাইন গ্যারান্টি স্কিমে বরাদ্দ বাড়াল অর্থমন্ত্রক। এই প্রকল্পে ২৫ লক্ষ ঋণগ্রাহক ক্ষুদ্র আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলির মাধ্যমে সর্বোচ্চ ১ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা করে ঋণ পাবেন। এই খাতে বরাদ্দ ৩ লক্ষ কোটি থেকে বাড়িয়ে সাড়ে ৪ লক্ষ করেছে কেন্দ্র।

৩. স্বাস্থ্যখাতে ৫০ হাজার কোটি টাকা ঘোষণা অর্থমন্ত্রকের। চলতি অর্থবর্ষে শিশুদের চিকিৎসা মাথায় রেখে পেডিয়াট্রিক বেড ও অন্যান্য পরিকাঠামো গড়ে তুলতে ২৩ হাজার ২২২ কোটি টাকার বেশি বরাদ্দ করল অর্থমন্ত্রক। পাশাপাশি এই টাকা পাঠরত চিকিৎসকদের ও আইসিইউ বেড এবং অক্সিজেন জোগানেও ব্যবহৃত হবে।
৪. অন্যান্য খাতে ৬০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করল কেন্দ্র। এই খাত থেকে ৮.২৫ বার্ষিক সুদে ঋণ পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছে অর্থমন্ত্রক।
৫.করোনা আবহে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পর্যটন শিল্প। তাই কেন্দ্র ও রাজ্য দ্বারা স্বীকৃত ট্যুর গাইডদের ও ভ্রমণ সংস্থাগুলিকে আর্থিক সাহায্যের ঘোষণা নির্মলার। সামান্য কিছু শর্তেই ১০০ শতাংশ গ্যারান্টিতে মিলবে এই খাতে ঋণ। তা ছাড়া প্রথম ৫ লক্ষ ট্যুরিস্ট ভিসা বিনামূল্যে দেবে কেন্দ্র।
৬. আত্মনির্ভর ভারত রোজগার যোজনা ২০২১ সালের ৩০ জুন থেকে বাড়িয়ে ২০২২ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত বর্ধিত করল কেন্দ্র।
৭. প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ যোজনার সময়কাল বৃদ্ধি করার ঘোষণা। এই প্রকল্পে ২ লক্ষ ২৭ হাজার ৮৪১ কোটি টাকা ঘোষণা অর্থমন্ত্রকের।
৮. নির্মলা জানান, ৮৫ হাজার ৪১৩ কোটি টাকা সরাসরি কৃষকদের অ্যাকাউন্টে পাঠানো হয়েছে। এ বার পুষ্টিকর খাদ্যদ্রব্যে ভর্তুকি ২৭ হাজার ৫০০ কোটি টাকা থেকে বাড়িয়ে ৪২ হাজার ২৭৫ কোটি টাকা করল কেন্দ্র। পাশাপাশি ১৪ হাজার ৭৭৫ কোটি অতিরিক্ত টাকা বরাদ্দ করল কেন্দ্র। যার মধ্যে ৯ হাজার ১২৫ কোটি টাকা ডিএপির জন্য ও ৫ হাজার ৬৫০ কোটি টাকা এনপিকে জাতীয় সারের জন্য।