
পরী মণির ( Pori Moni ) জামিন ও রিমান্ড শুনানির জন্য তাঁকে আদালতে হাজির করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার থেকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে পরী মণিকে ( Pori Moni ) হাজির করা হয় বলে আদালত সূত্রে জানা গেছে।
এর আগে গতকাল পরী মণিকে ( Pori Moni ) আবারও পাঁচ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।পরী মণির আইনজীবী মজিবুর রহমান বলেছেন, আজ বৃহস্পতিবার পরী মণির জামিন ও রিমান্ড শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।
আর ও পড়ুন পরীমণির (Porimoni) জামিন আবেদন নাকচ করে আরও এক দিনের রিমান্ড
এর আগে গত শুক্রবার বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে পরী মণিকে সিএমএম আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাঁকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির পরিদর্শক গোলাম মোস্তফা।
গত ৪ আগস্ট পরী মণিকে তাঁর বনানীর বাড়ি থেকে আটক করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। অভিযানে নতুন মাদক এলএসডি, মদ ও আইস উদ্ধার করা হয় বলে দাবি করে র্যাব। তাঁর ড্রয়িংরুমের কাবার্ড, শোকেস, ডাইনিংরুম এবং বেডরুমের সাইড টেবিল ও টয়লেট থেকে বিপুল পরিমাণ মদের বোতল উদ্ধার করা হয় বলেও দাবি করা হয়। এরপর রাত ৮টা ১০ মিনিটে পরী মণিকে তাঁর বাড়ি থেকে একটি সাদা মাইক্রোবাসে করে র্যাব সদর দপ্তরে নিয়ে যাওয়া হয়।
রাত ৮টা ৪৫ মিনিটে গাড়িটি কুর্মিটোলায় র্যাব সদর দপ্তরে পৌঁছায়। সেখানে রাত ১২টা পর্যন্ত পরী মণিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরদিন ৫ আগস্ট বিকেল ৫টা ১২ মিনিটে র্যাব সদর দপ্তর থেকে পরী মণি, প্রযোজক ও অভিনেতা মো. নজরুল ইসলাম রাজ ও তাঁদের দুই সহযোগীকে নিয়ে কালো একটি মাইক্রোবাসে করে বনানী থানায় রওনা দেয় র্যাবের একটি দল।
এরপর র্যাব বাদী হয়ে রাজধানীর বনানী থানায় পরী মণি ও তাঁর সহযোগী দীপুর বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করে৷ রাত ৮টা ২৪ মিনিটে পরী মণি ও তাঁর সহযোগীকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হয়। এরপর বনানী থানার মামলায় তাঁদের সাত দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা।
এ সময় আসামিপক্ষে তাঁদের আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে আবেদন করেন। অন্যদিকে, রাষ্ট্রপক্ষ রিমান্ডের পক্ষে শুনানি করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত তাঁদের চার দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এরপর ১০ আগস্ট পরী মণি ও তাঁর সহযোগী দীপুকে আদালতে হাজিরের পর ফের পাঁচ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করে মামলার তদন্ত সংস্থা সিআইডি। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত তাঁদের দুই দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। দুই দফায় রিমান্ড শেষে গত ১৩ আগস্ট পরী মণি ও তাঁর সহযোগী আশরাফুল ইসলাম দীপুকে আদালতে হাজির করা হলে আদালত তাঁদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।