আজই নির্ধারণ হবে মমতার ভাগ্য, কত ভোটে এগিয়ে মমতা, জানুন বিস্তারিত। ভবানীপুর উপনির্বাচনে আজ হাইভোল্টেজ লড়াই। এখানে তৃণমূলের তরফ থেকে রয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপির প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল। সিপিএম প্রার্থী করেছে আলিপুর আদালতের আইনজীবী শ্রীজীব বিশ্বাসকে।
কংগ্রেস এই আসনে কোনও প্রার্থী দেয়নি। হিন্দুস্তানী আওয়াম মোর্চার হয়ে লড়ছেন শতদ্রু রায়। নির্দল হিসাবে লড়ছেন ৭ জন। তাঁরা শতদ্রু রায়, মলয় গুহ রায়, সাহিনা আহমেদ, আশরফ আলম, সুব্রত বসু, রুমা নন্দন, চন্দ্রচূড় গোস্বামী। এর পাশাপাশি বহুজন মহা পার্টির তরফে উপনির্বাচনে লড়ছেন মঙ্গল সরকার। ভারতীয় ন্যায় অধিকার রক্ষা পার্টির প্রার্থী হিসেবে ভবানীপুর উপনির্বাচনে লড়ছেন স্বর্ণলতা সরকার।
ভবানীপুর উপনির্বাচনে ক্রমশ জয়ের ব্যবধান বাড়াচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃতীয় রাউন্ডের গণনার শেষে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পেয়েছেন ৯৯৭৪টি ভোট বিজেপির প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল পেয়েছেন ৩৮২৮ ভোট বামেরা পেয়েছেন ২৫০টি ভোট মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিকটবর্তী বিজেপি প্রার্থীর তুলনায় এগিয়ে রয়েছেন ৬১৪৬ ভোটে। এরপরে দ্বিতীয় রাউন্ডের শেষে প্রায় ২৫০০ ভোটে এগিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পোস্টাল ব্যালটে এগিয়ে ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভবানীপুরে ২১ রাউন্ড গণনা হবে।
আর ও পড়ুন জঙ্গিপুর-সামশেরগঞ্জে কে এগিয়ে কে পিছিয়ে, জানুন প্রাথমিক ফলাফল
ভবানীপুরে প্রথম রাউন্ডের গণনায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পেয়েছিলেন ৩৬৫০টি ভোট। বিজেপির প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল পেয়েছিলেন ৮৮১টি ভোট। সিপিএম প্রার্থী শ্রীজীব বিশ্বাস পেয়েছিলেন ৮৫টি ভোট।
ভবানীপুরের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জয়ের ব্যবধান বাড়বে বলে আশাবাদী তৃণমূল। ফিরহাদ হাকিম বলেন, বড় মার্জিনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জিতবেন। পঞ্চাশ থেকে আশি হাজার ভোটে জিতবেন। অন্যদিকে হিংসার আশঙ্কা করছেন বিজেপি প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল। ‘ভোট পরবর্তী হিংসা’র আশঙ্কায় রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়, কলকাতা হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দাল এবং কলকাতার পুলিস কমিশনারকে চিঠি লিখেছেন প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল।
‘ভোট পরবর্তী হিংসা’ রুখতে আদালতের হস্তক্ষেপের আর্জি জানিয়েছেন তিনি। প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল বলেন, “শেষ নির্বাচনের পরে যে ধরনের সন্ত্রাস হয়েছিল, তা বাংলার সম্মান নষ্ট করেছে। তাই এবার যাতে সন্ত্রাস না হয় তাই আগেভাগে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছি।”
একুশের বিধানসভা ভোটে ভবানীপুর থেকে জয়ী হন তৃণমূল প্রার্থী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। ভোট পড়েছিল প্রায় ৬২ শতাংশ এবং তিনি জেতেন ২৮ হাজার ৭১৯ ভোটে। ৩০ সেপ্টেম্বরের উপনির্বাচনে ভোট পড়েছে ৫৭ শতাংশের কিছু বেশি। যা একুশের নির্বাচনের তুলনায় কম। তবুও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বড় ব্যবধানে জয়ের বিষয়ে নিশ্চিত শাসকদল।