বেলতলিতে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ, এলাকায় উত্তেজনা

বেলতলিতে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ, এলাকায় উত্তেজনা

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram
বেলতলিতে

বেলতলিতে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ, এলাকায় উত্তেজনা। প্রতিবাদে বিক্ষোভ স্থানীয় ব্যবসায়ীদের বিক্ষোভ। সোমবার সন্ধ্যায় তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বিবাদের জেরে সংঘর্ষে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় গোসাবার শম্ভুনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের বেলতলি বাজার এলাকায়। ঘটনায় দুপক্ষের বেশ কয়েকজন গুরুতর জখম হয়েছেন। খবর পেয়ে গোসাবা থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়।

 

তবে বাজার এলাকায় এই ধরনের ঘটনা ঘটায় যথেষ্ট আতঙ্কিত এলাকার সাধারণ ব্যবসায়ীরা। ঘটনার প্রতিবাদে মঙ্গলবার সকালে বেলতলী বাজার এলাকায় বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, শম্ভুনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের দখল কার হাতে থাকবে এই নিয়েই তৃণমূলের বরুণ প্রামাণিক ও পরিতোষ হালদারের মধ্যে বিবাদ বাঁধে। কিছুদিন আগেও একে অপরের বিরুদ্ধে থাকলেও সম্প্রতি গোসাবা উপনির্বাচনের আগে ব্লক তৃণমূলের উদ্যোগে দু’পক্ষের মধ্যে বিবাদের নিস্পত্তি হয়।

 

চিত্ত ওরফে বরুণ শম্ভুনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের বর্তমান প্রধান। অন্যদিকে এলাকার তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি পরিতোষ। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরেই পরিতোষের বিরুদ্ধে এলাকায় তোলাবাজি সহ নানা দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। দলের কর্মীদের কাছেও তাঁর ভাবমূর্তি যথেষ্ট খারাপ। সম্প্রতি ব্লক নেতৃত্ব নতুন অঞ্চল সভাপতি নির্বাচন করতে উদ্যোগী হয়েছে। বুথ সম্মেলনের মধ্য দিয়ে দলের নিয়ম মেনেই সেই সভাপতি নির্বাচন করা হবে। এ বিষয়ে সোমবার বিকেলে গোসাবা ব্লক নেতৃত্বের উদ্যোগে পাঠানখালিতে একটা বৈঠকের ডাক দেওয়া হয়।

 

আর ও পড়ুন    হবু জামাইয়ের ভুরিভোজে ৩৬৫ পদ খাবার

 

সেই বৈঠকে শম্ভুনগর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার সমস্ত বুথ সভাপতি সহ দলীয় নেতৃত্বকে ডাকা হয়। সেখানে চিত্ত উপস্থিত হলেও পরিতোষ ও তাঁর অনুগামীরা উপস্থিত হননি। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই বুথ সম্মেলনের মধ্যে দিয়ে বুথ সভাপতি নির্বাচন ও তাঁদের দ্বারাই অঞ্চল সভাপতি নির্বাচন করা হবে। সেই বৈঠক থেকে চিত্ত ও তাঁর অনুগামীরা যখন ফিরছিলেন তখন আচমকা বেলতলি বাজার এলাকায় পরিতোষ ও তাঁর অনুগামীরা হামলা চালায়। ব্যাপক গুলি বৃষ্টি, ইট বৃষ্টি করা হয় চিত্ত ও তাঁর অনুগামীদের দিকে। একাধিক বাইক ভাংচুর করা হয়। ব্যাপক বোমাবাজি চলে এলাকায়।

 

ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তেজনা ছড়ালে গোসাবা থানার ওসি সৌমেন বিশ্বাসের নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। এই ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। তাদের বেশ কয়েকজনের দোকান ভাঙচুর করা হয়, লুটপাট করা হয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনার প্রতিবাদে মঙ্গলবার সকাল থেকে এলাকায় বিক্ষোভ আন্দোলনে নামেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top