এক বছরে রাজ্যের তরফে শিলিগুড়ি মহকুমা এলাকায় ৪কোটি ৯৫লক্ষ৮২হাজার টাকা প্রাপ্তি কৃষকদের। শেষ ১৫দিনে দুয়ারে সরকারে জমা পড়েছে আরও ১০৩১টি কৃষক পরিবারের আবেদন। শুধুমাত্র ২০-২১আর্থিক বর্ষের হিসেবে ধরেই শিলিগুড়ি চার ব্লক মিলে মহকুমা এলাকায় ৪ কোটি ৯৫লক্ষ৮২হাজার টাকা কৃষক বন্ধু প্রকল্পের ভাতা ছাড়া হয়েছে। একইসঙ্গে চলতি এই আর্থিক বসে ৩৬জন মৃত কৃষকের পরিবার পেয়েছে ২লক্ষ টাকা করে। শিলিগুড়ি মহকুমার সহকারী কৃষি অধিকর্তা পার্থ রায় জানান মার্চ এর প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত শিলিগুড়ি মহকুমায় মোট কৃষক বন্ধু প্রকল্পের আওতায় কৃষকের সংখ্যা ১৭৯০৪জন।
যারমধ্যে শিলিগুড়ি মহকুমার ব্লক ভিত্তিক কৃষক বন্ধুর সংখ্যা পর্যালোচনা করলে দেখা যাচ্ছে মাটিগাড়া এলাকা কৃষকের সংখ্যা ১৩৫৭,নকশালবাড়ি ৩১৮৩,ফাঁসীদেওয়া ৭৯৫৫ ও খড়িবাড়িতে কৃষকের সংখ্যা ৫৩৯১জনের প্রকল্পের আওতায় নাম তালিকাভুক্ত রয়েছে। এরমধ্যে চলতি বছরে আরও ৪৩৮০টি কৃষক বন্ধু প্রকল্পের আবেদন জমা পড়েছে। ইতিমধ্যেই নতুন করে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে ৪৩৬৪ জন কৃষকদের।তবে পূর্বের তালিকা ধরেই ২১-২২আর্থিক বর্ষের জানুয়ারি মাসে ১৬হাজার ৩২জন কৃষক বন্ধুকে প্রকল্পের আওতায় ভাতা প্রদান করা হয়। মোট ৪কোটি ৮২হাজার ২৮২ টাকা এই বিপুল অংকের রাশি ভাতা বাবদ বরাদ্দ করা হয় রাজ্যের সরকারের তরফে শিলিগুড়ি মহকুমার এই কৃষকদের।
আর ও পড়ুন আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করে জমি জবরদখল,তোলাবাজির অভিযোগ
রাজ্যের নিয়ম অনুযায়ী এক একর জমির জন্য ভাতা বরাদ্দ রয়েছে ৫০০০টাকা। সর্বনিম্ন ২০০০টাকা পর্য্ন্ত অর্থ মিলবে। একেবারে স্বল্প ১০০ শতাংশের কম থাকা জমির কৃষকদের নূন্যতম ২০০০টাকা করে ভাতা প্ৰদান করে রাজ্য। পাশাপাশি মৃত্যুকালীন বড় অংকের এককালীন ভাতা প্রদান করা হয় পরিবারকে। শিলিগুড়ি মহকুমার কৃষি সহ অধিকর্তা পার্থ রায় জানান রাজ্য সরকারের কৃষক বন্ধু প্রকল্পের আওতায় মৃত্যুকালীন পরিবারকে এককালীন ২লক্ষ টাকা প্রদান করা হয়। এরকম ৩৬জন কৃষককে প্রকল্পের অধীনে চলতি আর্থিক বর্ষের প্রেরণ মোট ৭২লক্ষ টাকা করা হয়েছে। পরবর্তীতে কৃষকবন্ধু পরিবারের অন্য কেউও মৃত ব্যক্তির পরিবর্তে সক্রিয় ভাবে চাষবাস করলে প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত হতে পারেন।