মানবতার আরেক নিদর্শন। দ্যা মিশন হাসপাতাল দুর্গাপুরে এক সদ্যজাত শিশুর জন্ম হয় নির্দিষ্ট সময়ের আগে। সময়ে আগে শিশুর জন্ম হওয়ায় এবং শিশুর মায়ের বুকের দুধ না থাকায় শিশুটি ও তার পরিবার সমস্যায় পড়ে যায়। হাসপাতলে কোনো ব্যবস্থা না থাকায়, হাসপাতালের তরফে জানানো হয়, সদ্যজাত শিশুকে মাতৃদুধ পান করাতে হবে, নচেত সদ্যজাত শিশুকে বাঁচানো যাবে না।
এরপরই সদ্যজাত শিশুর বাবা ও তার পরিবারের সদস্যরা হন্যে হয়ে খুঁজে বেড়ায় সদ্য ‘মা’ হওয়া এমন কোন মহিলার। যিনি হাসপাতালে এসে শিশুটিকে নিজের দুধ পান করাবেন। খবর আসে দুর্গাপুর মহকুমা ভলান্টারি ব্লাড ডোনার্স ফোরামের সদস্যদের কাছে। সংগঠনের সহ সভাপতি রঞ্জন ব্যানার্জির ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় দুর্গাপুর করঙ্গপাড়ার ষষ্ঠীতলা ও বাউড়ি পাড়ায় বসবাসকারী দু’জন সদ্য মায়ের, মাতৃ হৃদয় স্পর্শ করলো সংগঠনের সদস্যদের কাতর আবেদন।
আরও পড়ুন – পূজার দিনগুলিতে গোটা দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় বাজবে না ডি.জে
গরীব কিন্তু, বড় মনের অধিকারী এই দুই বিরল মনের মা। সদ্য মা হয়েছে ২২ বছরের প্রতিমা থান্ডার (ষষ্ঠীতলা) ও প্রিয়া বাউরি (বাউড়িপাড়া) তারা সংগঠনের সদস্যদের আবেদনে সাড়া দিয়ে পালা করে হাসপাতালে গিয়ে শিশুটিকে দুধ খাইয়ে আসছে। দুর্গাপুর মহকুমা ভলান্টারি ব্লাড ডোনার্স ফোরাম এই দুইজন মহীয়সী মা’দের স্যালুট জানায় এবং কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করে। দুর্গাপুরের দ্যা মিশন হাসপাতালে জন্মগ্রহণ করা সদ্যজাত শিশুর পিতা জয়ন্ত শর্মা ও মাতা জ্যোতি শর্মা কুলটি নিবাসি, ওই দুই মাকে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।
উল্লেখ্য, দ্যা মিশন হাসপাতাল দুর্গাপুরে এক সদ্যজাত শিশুর জন্ম হয় নির্দিষ্ট সময়ের আগে। সময়ে আগে শিশুর জন্ম হওয়ায় এবং শিশুর মায়ের বুকের দুধ না থাকায় শিশুটি ও তার পরিবার সমস্যায় পড়ে যায়। হাসপাতলে কোনো ব্যবস্থা না থাকায়, হাসপাতালের তরফে জানানো হয়, সদ্যজাত শিশুকে মাতৃদুধ পান করাতে হবে, নচেত সদ্যজাত শিশুকে বাঁচানো যাবে না।