সিসি ক্যামেরায় বন্য প্রাণীর ছবি। এলাকায় শুরু হয়েছে চিতা বাঘের গুজব। যদিও বেড়াল জাতীয় কোন বন্য প্রানী বলে দাবি করছে বনদফতর। বুধবার বিভিন্ন জায়গাতে খোজ করেও বন্য প্রানী বা তার পায়ের ছাপ পায়নি বনদফতর। যদিও খোজ চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছ বনদফতর।
স্থানীয় ও বনদফত সুত্রে জানাগিয়েছে, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পুরুলিয়ার বান্দোয়ানের চিরুডি কালিন্দরের কাছে একটি বন্যপ্রানী দেখতে পেয়ে দাড়িয়ে পড়ে কয়েকটি গাড়ী। ওই গাড়ীর চালকরা বাঘ দেখতে পেয়েছে বলে চিৎকার করেন। এরপরেই ঘর থেকে বের হয়ে যান এলাকার বাসিন্দারা। কিন্তু সেখানে কিছু দেখা যায়নি।
এরপরে কালিমন্দিরের থাকা সিসি ক্যামেরা দেখা যায় একটি চার পেয়ে বন্যপ্রানী রাস্তা দৌড়ে যাচ্ছে। মন্দিরের গায়ে থাকা সিংহের মুর্তি দেখে হালকা থমকেও যায় বন্যপ্রানী। অন্য একটি ক্যামেরার ছবিতে দেখা গিয়েছে সজোরে দৌড়ে যাচ্ছে বন্য প্রানীটি। ঘটনার পরে ঘটনাস্থলে পৌছায় বনদফতরের কর্মীরা। সিসিটি ফুটেজ সংগ্রহ করে এলাকায় পায়ের ছাপের খোজ শুরু করে। কিন্তু সেখানে কিছু পাওয়া যায়নি বলে জানায় বনদফতর। বেশ কয়েকদিন ধরেই রাইকা পাহাড় সংলগ্ন উদলবদি, রাহামদা এলাকায় একের পর এক ছাগল নিখোজ হয়েছে। এমনকি সেখান থেকে বন্য প্রানীর হামলায় জখম ছাগলকেও উদ্ধার হয়েছে। সেখানে বসানো হয়েছে ট্রাপ ক্যামেরা।
আরও পড়ুন – এক কিশোরের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার, চাঞ্চল্য এলাকায়
কিন্তু ক্যামেরায় ছবি না পাওয়া গেলেও সেখানে একটি পায়ের ছাপ পাওয়া গিয়েছে। তবে সেখানে নেকড়ে বলে দাবি করছিল বনদফত। বনদফতের অনুমান সেখান থেকে কোন ভাবে এদিকেও চলে এসেছে বন্যপ্রানীটি। কংসাবতী দক্ষিন বনবিভাগের ডিএফও অসিতাভ চ্যাটার্জি বলেন, সিসি ক্যামেরার ছবি সংগ্রহ করা হয়েছে। তাতে বন্য প্রানীর ছবি অস্পষ্ট। দেখে অনুমান বেড়াল জাতীয় বন্যপ্রানী হয়ে থাকতে পারে। এলাকায় পায়ের ছাপের খোজ শুরু করা হয়েছে। এলাকায় নজর দারি চালানো হচ্ছে।