ডুয়ার্স কাপাতে চাইছে ময়নাগুড়ি সানরাইজ ক্লাবের দুর্গা পুজো। চোখ ধাঁধানো আলোকসজ্জা ,চন্দন নগর সেইসাথে আকর্ষণীয় মণ্ডপ সয্যায় এবার দুর্গা পুজোয় ময়নাগুড়ি তথা ডুয়ার্স কাঁপাতে চলেছে ময়নাগুড়ি সানরাইজ ক্লাব। প্রায় ৭০বছরের পুরনো সানরাইজ ক্লাবের এবার পুজোর মূল আকর্ষণ তাদের পুজোর থিম। ময়নাগুড়ি দেবীনগর পাড়ায় অবস্থিত সানরাইজ ক্লাবের এবারের পুজোর থিম “পৃথিবীর বাঁচতে চায়”। এই থিমের মধ্য দিয়ে প্রকৃতি রক্ষার বার্তা তুলে ধরা হবে ক্লাবের পক্ষ থেকে।
ময়নাগুড়ি র অন্যান্য বিগ বাজেটের পুজোগুলির মধ্যে অন্যতম সানরাইজ ক্লাবের পুজো। প্রতিবছর ডুয়ার্সের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষজনদের ঢল নামে সানরাইজ ক্লাবের পুজো মন্ডপে। এ বছরও তার ব্যতিক্রম হবে না বলে ক্লাব সদস্যরা জানিয়েছেন। হাজার ১৯৭০ সালে দুলু সরকার, নীলমণি দত্ত, তরুণ চৌধুরীর সহ বেশ কয়েকজনের হাত ধরে গড়ে ওঠে সানরাইজ ক্লাব।
বর্তমানে তুহিন কান্তি চৌধুরী (লাল্টু), সোমেশ্বর সান্যাল (ঝুলন), শুভ রায় ,বিপ্লব সাহা, বিশু দত্ত, আশু রায়, পিন্টু দে, অরুণ রায়, শ্যামল দে সহ প্রায় দু শতাধিক ক্লাব সদস্যরা ডুয়ার্সের মধ্যে সানরাইজ ক্লাবের পুজোকে সেরা করে তুলতে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন। প্রতিবছর দেবীনগর পাড়ায় ঢোকার মুখ থেকে পুজো মন্ডপ পর্যন্ত দুপাশ দিয়েই বিভিন্ন সমাজ সচেতনতামূলক বার্তা মডেল ও লাইটিং এর সাহায্যে তুলে ধরে ক্লাব সদস্যরা।
ক্লাব সম্পাদক তুহিন কান্তি চৌধুরী, ঝুলন সান্যাল বলেন, আমরা এবার আমাদের পূজো মণ্ডপের মধ্য দিয়ে প্রকৃতি রক্ষার বার্তা তুলে ধরব। সে কারণেই আমাদের থিমের নাম রাখা হয়েছে পৃথিবী বাঁচতে চায়।
আমাদের সমাজে বেশ কিছু মানুষ অসৎ পথের মাধ্যমে দ্রুত তার লক্ষ্যে পৌঁছানোর চেষ্টা করে। অপরদিকে কিছু সৎ মানুষ ধীরে ধীরে পৌঁছে যায় তার লক্ষ্যে। সৎ মানুষ ও অসৎ মানুষের পার্থক্য একদিকে যেমন তুলে ধরা হবে। অপরদিকে কি কারনে আমাদের প্রকৃতিকে রক্ষা করা উচিত। প্রকৃতি রক্ষা পেলে আমরা পৃথিবীতে রক্ষা পাবো। কেন পৃথিবীকে সবুজায়ন করে গড়ে তোলা উচিত। এই সমস্ত কিছু আমাদের পুজো মন্ডপে ধরা পড়বে। থাকছে বিভিন্ন মডেল। পুজো মণ্ডপের ভিতর থাকবে বিরাট একটি ঘড়ি। মন্ডপের উপরেই থাকবে একটি গ্লোব। যা পরিক্রমা করবে।
আরও পড়ুন – বালুরঘাটের ৬টি পূজো কমিটিকে পুরস্কার প্রদানের ঘোষনা বালুরঘাট থানার
বিভিন্ন মানুষ জনকে মডেলের মধ্য দিয়ে তুলে ধরা হবে। তার সাথে থাকবে চারিদিকে প্রকৃতির যে আওয়াজ তা সাউন্ডের মাধ্যমে তুলে ধরা হবে। বিভিন্ন পাখির আওয়াজ শোনা যাবে মন্ডপে এলে। ইতিমধ্যেই আমরা বিভিন্ন সদস্যদের নিয়ে চাঁদা কালেকশনে বেরিয়ে পড়েছি। দিন রাত এক করে এখন আমাদের একটাই লক্ষ্য আমাদের পুজোকে সেরার সেরা করে তোলার। আমাদের আশা এবার আমরা ডুয়ার্সের মধ্যে প্রথম স্থান অর্জন করব।
এছাড়াও এবার আমাদের বেশ কিছু কর্মসূচি রয়েছে পুজোর দিন থেকে বিসর্জন পর্যন্ত। ব্যাঙ্গালোর ও মুম্বাইয়ের টিম নিয়ে এসে গড ট্যালেন্ট শো করা হবে। মহালয়ার দিন থাকছে আগমনী অনুষ্ঠান। বিসর্জনে ও থাকছে চমক। আমরা সমগ্র ডুয়ার্সবাসীদের আমাদের পূজা মন্ডপে আসার জন্য আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।