আজ ৩ অক্টোবর নিয়োগ দুর্নীতি মামলার জিঞ্জাসাবাদের জন্য ইডি দফতরে তলব করেছিল অভিষেককে। অন্যদিকে, আবার আজই তৃণমূলের দিল্লি ধর্ণা মঞ্চের দ্বিতীয় দিন। এদিকে বিচারপতি অমৃতা সিনহা নির্দেশ দিয়েছিলেন, ৩ অক্টোবর অনুসন্ধান এবং তদন্ত যাতে ব্যাহত না হয় তা নিশ্চিত করতে হবে ইডি অধিকর্তাকে। এক্ষেত্রে অবশ্য নির্দিষ্ট কোনো নাম উল্লেখ করেননি তিনি। আর এবার বিচারপতি অমৃতা সিনহার সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করেই এবার ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হতে চলেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বিচারপতি সোমেন সেনের ডিভিশন বেঞ্চে দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারেন।
আরও পড়ুনঃ আজ যন্তরমন্তরে তৃণমূলের আগে কেন্দ্রকে হুঙ্কার আভিষেকের
উল্লেখ্য, গত ২৮ সেপ্টেম্বর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছিল ইডি। এদিকে প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ED-র তদন্তকারী আধিকারিক মিথিলেশ কুমার মিশ্রকে সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। গত ২৫ সেপ্টেম্বর আদালতে একাধিক প্রশ্নের মুখে পড়েছিলেন তিনি। তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়ে তাঁকে কড়া ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হয়েছিল। এরপরেই মিথিলেশ মিশ্রকে উদ্দেশ্য করে বিচারপতি অমৃতা সিনহার প্রশ্ন ছিল, “আপনি কি এই তদন্ত থেকে নিজেকে অব্যাহতি দিতে চান? যা নথি দিচ্ছে তা যাচাই না করেই জমা দেওয়া হচ্ছে।”
উল্লেখ্য, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সংস্থা লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসে তদন্ত চালিয়েছিল ইডি। আর এরপরেই তাঁকে ৩ অক্টোবর সিজিও কমপ্লেক্সে ডেকে পাঠানো হয়েছে। এদিকে শুক্রবার তিনি এক্স হ্যান্ডেলে জানিয়েছিলেন হাজিরা দেবেন না। বিষয়টি আদালতে উল্লেখ করেছিলেন আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। এরপরেই অমৃতা সিনহার স্পষ্ট নির্দেশ ছিল, কোনওভাবেই যাতে তদন্ত বাধা না পায়। এক্ষেত্রে কারও নাম অবশ্য তিনি উল্লেখ করেননি।
এবার এই নির্দেশের প্রেক্ষিতেই ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রসঙ্গত, লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের অফিসে ইডি তদন্ত চালিয়েছিল। আর এই তদন্তে যা যা নথি পাওয়া গিয়েছিল তার ভিত্তিতে সংস্থার ডিরেক্টর এবং সিইও-দের সম্পত্তির নথি জমা দেওয়ার জন্য ইডিকে নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা।
আর ইডি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্পত্তির যে খতিয়ান জমা দিয়েছিলেন তা দেখেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। তিনি জানান, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় একজন সাংসদ। তাঁর কোনও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নেই? সেক্ষেত্রে তার বেতন কোথায় জমা পড়ে? তথ্য যাচাই না করে জমা দেওয়ার জন্য উষ্মা প্রকাশ করেন বিচারপতি। এখন দেখার ডিভিশন বেঞ্চে কি এই মামলার প্রেক্ষিতে কিছুটা স্বস্তি পাবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়!