সংবিধানের প্রস্তাবনা থেকে বাদ ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ ও ‘সমাজতান্ত্রিক’, অধীর

সংবিধানের প্রস্তাবনা থেকে বাদ ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ ও ‘সমাজতান্ত্রিক’, অধীর

মঙ্গলবার থেকে শুরু হয়েছে নতুন সংসদ ভবনে অধিবেশ্ন। আর নতুন সংসদ ভবনে অধিবেশন শুরু হতে না হতেই শুরু হল নতুন বিতর্কও। এবার অভিযোগ উঠল, সাংসদদের সংবিধানের (constitution) যে কপি দেওয়া হয়েছে, তাতে সংবিধানের প্রস্তাবনা থেকে ধর্মনিরপেক্ষ (Secular) ও সমাজতান্ত্রিক (Socialist)- এই দুটি শব্দ বাদ দেওয়া হয়েছে। এই বিষয়টি সামনে এনেছেন কংগ্রেস সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরী (Adhir Ranjan Chowdhury)। সরকারের তরফে এখনও এই বিষয়ে কোনও ব্যাখ্যা দেওয়া হয়নি।

আরও পড়ুনঃ সংসদে আজ পেশ হল মহিলা সংরক্ষন বিল, নরেন্দ্র মোদী

মঙ্গলবারই সংবাদসংস্থা এএনআই-র মুখোমুখি হয়ে লোকসভায় বিরোধী দলনেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী বলেন, “যে সংবিধান নিয়ে নতুন সংসদ ভবনে আমরা পা রেখেছি, তাতে ধর্মনিরপেক্ষ ও সমাজতান্ত্রিক-এই শব্দ দুটি সংবিধানের প্রস্তাবনায় ছিল না। যদি এই শব্দ দুটি সংবিধানে না থাকে, তবে এটা অত্যন্ত উদ্বেগের বিষয়।”তিনি আরও বলেন, “সরকার খুব চালাকির সঙ্গে এই পরিবর্তনগুলি করছে। ওদের উদ্দেশ্য মোটেও ভাল নয়।” অধীর জানান, মঙ্গলবারই  তিনি সংসদে এই বিষয়টি তুলতে চেয়েছিলেন, কিন্তু সেই সুযোগ পাননি।

 

সোমবার থেকে সংসদের বিশেষ অধিবেশন শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার পুরনো সংসদ ছেড়ে নতুন সংসদে অধিবেশন স্থানান্তরিত করা হয়। নতুন সংসদ ভবনে অধিবেশন শুরুর উপহার হিসাবে সকল সাংসদদের সংবিধানের একটি কপি, স্ট্যাপ ও কয়েন দেওয়া হয়েছিল। কংগ্রেস সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরীও এই উপহার পান। সেই সংবিধানের কপিতেই ধর্মনিরপেক্ষ ও সমাজতান্ত্রিক-এই দুটি শব্দ রাখা হয়নি বলে দাবি করা হয়েছে। রাখা হয়নি বলে দাবি করা হয়েছে।

 

এর আগে দেশের নাম পরিবর্তন নিয়েও বিতর্ক শুরু হয়েছিল। জি-২০ সম্মেলনের নৈশভোজে রাষ্ট্রপতির আমন্ত্রণপত্রে প্রেসিডেন্ট অব ইন্ডিয়ার বদলে প্রেসিডেন্ট অব ভারত লেখা ছিল। এরপরে জি-২০ সম্মেলনেও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেমপ্লেটে ভারত লেখা ছিল। বিরোধীদের দাবি, কেন্দ্র সুদক্ষভাবে দেশের নাম ইন্ডিয়া থেকে বদলে ভারত করে ফেলতে চাইছে। বিরোধী জোট ইন্ডিয়া-কে ভয় পেয়েই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র, এমনটাই দাবি তাদের। এবার সংবিধান নিয়েও বিতর্ক শুরু হল। বিরোধীদের দাবি, কেন্দ্র সুদক্ষভাবে দেশের নাম ইন্ডিয়া থেকে বদলে ভারত করে ফেলতে চাইছে। বিরোধী জোট ইন্ডিয়া-কে ভয় পেয়েই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র, এমনটাই দাবি তাদের। এবার সংবিধান নিয়েও বিতর্ক শুরু হল।