১০৭ বছর পর ফের প্যারিসের রাস্তায় ভারতীয় ফৌজ,বাস্তিল দিবস প্যারেডের অংশে হবে পঞ্জাব রেজিমেন্ট।আর মাত্র এক সপ্তাহের অপেক্ষা।১৪ জুলাই প্যারিসে অনুষ্ঠিত হবে ঐতিহ্যবাহী বাস্তিল দিবস কুচকাওয়াজ।আর সেখানে প্রধান অতিথি হিসেবে থাকবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।এবারের বাস্তিল দিবস কুচকাওয়াজে অংশ নিচ্ছে ভারতীয় সেনা ও এয়ারফোর্স।উল্লেখ্য,গত ১০০ বছরে ভারতীয় সেনার কোনও রেজিমেন্টের পা পড়েনি প্যারিসে।সেদিক থেকে এবারের বাস্তিল দিবসের কুচকাওয়াজ অনেকটাই আলাদা হতে চলেছে।ওই প্যারেডের অংশ হতে চূড়ান্ত প্রস্তুতি নিচ্ছেন সেনা জওয়ানরা।
ফ্রান্স প্রশাসন সূত্রে খবর,১০৭ বছর আগে শেষবার প্যারিসের কুচকাওয়াজে অংশ নেন ভারতীয় জওয়ানরা। জার্মান বাহিনীর ফ্রান্সে ঢোকা আটকে দিয়েছিলেন শিখ সৈনিকরা।তাঁদের সঙ্গে এঁটে উঠতে না পেরে পিছু হটে জার্মানরা।যুদ্ধ জয়ের সাফল্য তুলে ধরতে প্যারিসের রাস্তায় প্যারেড করে পঞ্জাব রেজিমেন্ট।
বাস্তিল দিবসের অনুষ্ঠানের আগে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময়ের ওই ছবি ভাইরাল হয়েছে নেট দুনিয়ায়।সেখানে ব্রিটেনের হয়ে যুদ্ধে লড়াই করা ভারতের শিখ জওয়ানদের তলোয়ার হাতে প্যারিসের রাস্তায় কুচকাওয়াজ করতে দেখা গিয়েছে।আর তাঁদের দিকে ফুল ছুড়ে দিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন এক ফরাসি তরুণী।ছবিটি ১৯১৬-য় তোলা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।এবারের বাস্তিল দিবসে প্যারিসের আকাশে শোনা যাবে রাফাল ফাইটার জেটের গর্জন। অনুষ্ঠানের দিন ফ্লাই পাস্টে অংশ নেবেন ভারতীয় বায়ু সেনার মহিলা ফাইটাররা।ফরাসি সংস্থা দাসোঁর তৈরি যুদ্ধবিমান রাফাল। কয়েক বছর আগে যা কিনেছে ভারত।
গত সপ্তাহে ফরাসি পুলিশের গুলিতে মৃত্যু হয় ১৭ বছরের কিশোর নাহেলের।ওই ঘটনার পর থেকে অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে ফ্রান্সের পরিস্থিতি।বিক্ষোভের নামে দোকান-বাজারে আগুন দেয় শরণার্থীরা।প্যারিসের মেয়রের বাড়িতেও হামলা হয়।
প্রধানমন্ত্রী মোদীর ফ্রান্স সফরের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।চলতি সপ্তাহে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের সঙ্গে বৈঠক করেন ফরাসি প্রেসিডেন্টের কূটনৈতিক উপদেষ্টা। প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।পাশাপাশি,এই সফরে তিনি একাধিক প্রতিরক্ষা চুক্তি করতে পারেন বলেও ইঙ্গিত মিলেছে।
আরও পড়ুন – মার্ক জ়ুকেরবার্গ বনাম এলন মাস্ক! Threads অ্যাপ নিয়ে এবার বিস্ফোরক এলন,
প্রসঙ্গত,দু’টি বিশ্বযুদ্ধেই ব্রিটিনের হয়ে লড়াইতে ছিলেন বহু ভারতীয়।ওই সময় পরাধীন ভারত থেকেই শিখ ও গোর্খা রেজিমেন্টের সেনাদের যুদ্ধের জন্য ইউরোপে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।বিভিন্ন রণাঙ্গনে প্রবল পরাক্রমের জন্য রয়্য়াল ক্রস ও ভিক্টোরিয়া ক্রসের মতো সম্মান পায় এই রেজিমেন্টগুলি।