অমর্ত্য সেনকে বেনোজির আক্রমণ, আক্ষেপ প্রকাশ রাজ্যের রাজনীতিবিদের

নোবেলজয়ী অমর্ত্য সেনকে বেনোজির আক্রমণ করা হচ্ছে।এনিয়ে আক্ষেপ প্রকাশ করল রাজ্যের রাজনীতিবিদেরা।তৃনমূল ,বাম,কংগ্রেস সব দলই এনিয়ে সরব হয়েছেন। রবিবার দলীয় কর্মসূচীতে মালদায় রয়েছেন দিলীপ ঘোষ। সকালে মনিং ওয়ার্ক করে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে অমর্ত্য সেনের নাম না করে আবারও আক্রমণ করেন তিনি। তিনি আরও বলেন, ’বিশ্বভারতীর জমি দখল করে বসে আছে। কেন দলিল দেখাচ্ছেন না?

 

উল্টে বিশ্বভারতীর উপাচার্যকে চোখ রাঙাচ্ছেন। সবাই জানে দেশের সম্পত্তি, সরকারি সম্পত্তি লুঠ করে এরা ফুর্তি করেছে। আজ হিসাব দিতে হবে’।প্রসঙ্গত,এর আগে নোবেল জয়ী অর্থনীতিবিদকে বহু বার আক্রমন করছেন বিশ্ব ভারতীর উপাচার্য।এই প্রসঙ্গে বাম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, ‘দিলীপ ঘোষের কথায় উত্তর দেওয়া আমি পছন্দ করিনা।

 

দিলীপ ঘোষ অমর্ত্য সেন কে নিয়ে কমেন্ট করছেন। এটা ভাবতেও কষ্ট হয়। আমি তা নিয়ে কোনও কমেন্টই করব না। দিলীপ ঘোষ যখন বলছে তাঁর মানে অমর্ত্য সেন কোন অন্যায় করেছেন তা নয়। সেটা করলে দিলীপ ঘোষ বুঝতে পারতেন না। দিলীপ ঘোষের কথা মোদীর মতন। আসলে ওরা অমর্ত্য সেনকে অসম্মান কএ লেখাপরা শিক্ষা চেতনাকে অসম্মান করতে চায়’।

 

 

রাজ্যের হেভিওয়েট এক কংগ্রেস নেতা বলেন,এই বিজেপির কালচার।ভালো মানুষকে যোগ্য সন্মান দিতে পারে না।এরা করবে রাজনীতি।এরা মোদিকে তথা খুশি দিল্লিকে খুশি করতে যা খুশি তাই করছে।এটা ঠিক নয়।

তৃণমূল নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, ‘দিলীপবাবুর সম্পর্কে একটা কথা আমি নিজে জানি যে পরাশুনার প্রতি তাঁর প্রচন্ড টান আছে। ক্লাস এইট পাশ করেছেন কিনা সন্দেহ। এই ডিগ্রির ব্যাপারে আগে কী হয়েছিল তা আমরা জানি। কিছু বিষয়ে ওনার কথা না বলাই ভালো।

আরও পড়ুন – অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের মুকুট জিতে রেকর্ড গড়েছেন জকোভিচ

কারণ অমর্ত্য সেন এবং শান্তিনিকেতন, অমর্ত্য সেনের দাদু কে ছিলেন, কতদিন আগে ওই জমি দেওয়া হয়েছে, রবিন্দ্রনাথ্র সময় , এইসব বিষয় নিয়ে কেন কথা বলতে যাচ্ছেন? বিদ্যুৎ চক্রবর্তী একজন উপাচার্য যাকে বিজেপি পাথিয়েছিল গৈরিকিকরণের জন্য। আমার সঙ্গে বৈঠকে এই বিদ্যুৎ চক্রবর্তী বলেছিলেন কে রবিন্দ্রনাথ? বুধবার কেন ছুটি হবে? কেন পৌষ মেলা হবে আমি এসব বন্ধ করে দিতে চাই। রবীন্দ্রনাথ আমি মানি না। এখন শুধু মোদীজি আছে’। বেনোজির