ভারতের এই তিন মিষ্টি বিশ্বের সেরা মিঠাইর তালিকায় রয়েছে, জানেন কত নম্বর রয়েছে রসগোল্লা? মাছের পরেই বাঙালির প্রিয় খাবার হল মিষ্টি। আর মিষ্টির মধ্যে এক নম্বর হল রসগোল্লা। ভারতীয় উপমহাদেশের সবচেয়ে প্রাচীন মিষ্টিটি হল লাড্ডু। আনুমানিক ২০০০ বছর আগেও নাকি লাড্ডু খাওয়ার চল ছিল। ভারতবর্ষ তো বটেই বাংলায় একাধিক জায়গাতেও বিভিন্ন উপাদান লাড্ডু তৈরি করা হত। বাংলার মিষ্টি হল মূলত রসগোল্লা বা সন্দেশ, যার জন্ম গত দুই থেকে আড়াইশো বছর আগে। আর তার আগে বাংলায় মিষ্টি বলতে ছিল দুধ জ্বাল দিয়ে প্রস্তুত করা ক্ষীর, চিনি থেকে প্রস্তুত বিভিন্ন প্রকার শক্ত চিনির ডেলা জাতীয় মিষ্টি এবং গুড়।
সেরা মিষ্টির তালিকায় বাংলার কোনও মিঠাই ঠাঁই পায়নি বটে, কিন্তু স্থান দখল করে নিয়েছে দেশের অন্য প্রদেশগুলি। সম্প্রতি বিশ্বের সবচেয়ে পছন্দের মিষ্টির একটি তালিকা প্রকাশ করেছে বিখ্যাত আন্তর্জাতিক ট্র্যাভেল অনলাইন গাইড ‘টেস্ট অ্যাটলাস’ (TasteAtlas)। তাতে জায়গা করে নিয়েছে ভারতের তিনটি মিষ্টি। বিশ্বের সেরা মিষ্টির তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে দক্ষিণ ভারতের বিখ্যাত মিষ্টি মাইসোর পাককে। চলুন মিষ্টির তালিকাটি সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
সেরা ৫ মিষ্টিগুলি কী কী
টেস্ট অ্যাটলাসের সেরা ৫ মিষ্টির তালিকায় প্রথম স্থান লাভ করেছে পর্তুগালের পেসলে ডি নাটা। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে যেখানে ইন্দোনেশিয়ার সোরাবি মিষ্টি। এবং তুরস্কের ডোনডুরমা ছিনিয়ে নিয়েছে তৃতীয় স্থান। চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার হটিওক এবং পঞ্চম স্থান লাভ করেছে থাইল্যান্ডের পা থং মিষ্টি।
মাইসোর বা মহীশূর পাকের ইতিহাস কি ?
বিশ্বের সেরা ৫০টি মিষ্টির তালিকার ১৪ তম স্থানে রয়েছে ভারতের মাইসোর পাক। দক্ষিণ ভারতের বিখ্যাত এই মিষ্টি তৈরি করা হয় বেসন, ঘি এবং চিনি দিয়ে। ১৯৩৫ সালে মহীশূর পাকের প্রথম তৈরি করেছিলেন শেফ মাদপ্পা। দুপুরের খাবারের পর রাজা কৃষ্ণ ওদেয়ারকে এই মিষ্টি পরিবেশন করা হয়েছিল। খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই এই মিষ্টি হয়ে উঠেছিল রাজার প্রিয় মিঠাই। এরপর এটি ধীরে ধীরে সারা দেশে প্রসিদ্ধি লাভ করে।
অন্যদিকে তালিকায় স্থান পেয়েছে এই দুই ভারতীয় মিষ্টিও,
মাইসোর পাক ছাড়াও, তালিকায় স্থান পেয়েছে ফালুদা এবং কুলফি ফালুদা। ‘টেস্ট অ্যাটলাস’ (TasteAtlas) হল একটি আন্তর্জাতিক ট্র্যাভেল অনলাইন গাইড। এখানে সারা বিশ্বের রাস্তার খাবার নিয়ে পর্যালোচনা করে তার তালিকা তৈরি করা হয়। এর আগে এই আন্তর্জাতিক সংস্থার ‘সেরা ৫০চিজ ডিশ’-এর তালিকায় তৃতীয় স্থানে জায়গা করে নিয়েছিল ভারতের শাহী পনির।
মাইসোর পাক তালিকায় কত নম্বরে রয়েছে
টেস্ট অ্যাটলাসের সেরা মিষ্টির তালিকায় ১৪ তম স্থান পেয়েছে মাইসোর পাক বা মহীশূর পাক। সেখানে কুলফি এবং কুলফি ফালুদা পেয়েছে যথাক্রমে ১৮ এবং ৩২ নম্বর স্থান। এর আগে কুলফি এবং কুলফি ফালুদা বেস্ট ফ্রোজেন ডেজার্টের তালিকায় স্থান পেয়েছিল। এবার ফের বিশ্বের সেরা স্ট্রিট ফুড মিষ্টির তালিকাতেও জায়গা করে নিল এই মিষ্টি দুটি।
আরও পড়ুন – অবশেষে হাসপাতালেই হার্ট অপারেশন হল কালীঘাটের কাকুর,
সাহিত্যিক সৈয়দ মুস্তফা আলির কথায়, ইতালিয়দের কাছ থেকে শিখে ইংরেজরা ভালো কেক, পেস্ট্রি, পুডিং বানাতে জানলেও আমাদের সন্দেশ রসগোল্লার তুলনায় সেসব জিনিস তুচ্ছ। কিন্তু হলে কী হবে? বিশ্বজুড়ে যে ওদেরই রাজত্ব। তাই যখন সেরা মিষ্টির প্রতিযোগিতা হয় তখন পশ্চিমী জিভের পছন্দই শেষ কথা।