ঝালদাকাণ্ডে ডিভিশন বেঞ্চেও ধাক্কা রাজ্যের!

ঝালদাকাণ্ডে ডিভিশন বেঞ্চেও ধাক্কা রাজ্যের! পুরসভা সামলাবেন নির্দল শীলাই, নির্দেশ কোর্টের,বৃহস্পতিবার সেই মামলাটি বিচারপতি সিংহের বেঞ্চে পাঠিয়ে দিল ডিভিশন বেঞ্চ। সেই সঙ্গে জানিয়ে দিল, একক বেঞ্চের নির্দেশ না আসা পর্যন্ত শীলাই পুরসভা চালাবেন। পুরুলিয়ার ঝালদা পুরসভা (Jhalda Municipality)  নিয়ে কলকাতা হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চেও ধাক্কা খেল রাজ্য। ওই পুরসভার চেয়ারম্যান পদে নির্দল কাউন্সিলর শীলা চট্টোপাধ্যায়কেই পুনর্বহাল রাখল আদালত। বৃহস্পতিবার বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিচারপতি অপূর্ব সিংহের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দিল, একক বেঞ্চ পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত পুরপ্রধান পদে শীলাই থাকবেন। আদালতের নির্দেশ শুনে শীলা বলেন, ‘‘সত্যের জয় হয়েছে। গণতন্ত্রপ্রেমী মানুষের জয় হয়েছে।’’

 

 

গত মাসে পুরসভার সংখ্যাগরিষ্ঠ কংগ্রেস পুরপ্রতিনিধিদের সমর্থনে পুরপ্রধান পদে শপথ নিয়েছিলেন শীলা। কিন্তু তৃণমূল ছেড়ে কংগ্রেসের সঙ্গ নেওয়ায় তাঁর রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন তুলে প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছিল শাসকদল। সেই প্রেক্ষিতেই রাজ্য পুরআইনের নির্দিষ্ট ধারায় শীলার পুরপ্রতিনিধি পদ বাতিল করে প্রশাসন। এর পর রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর পুরপ্রধানের দায়িত্ব দেয় প্রাক্তন উপপুরপ্রধান সুদীপ কর্মকারকে। তিনি তৃণমূলের। রাজ্যের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে হাই কোর্টে যায় কংগ্রেস।

 

 

 

বৃহস্পতিবার সেই মামলাটি বিচারপতি সিংহের বেঞ্চে পাঠিয়ে দিল ডিভিশন বেঞ্চ। সেই সঙ্গে জানিয়ে দিল, একক বেঞ্চের নির্দেশ না আসা পর্যন্ত শীলাই পুরসভা চালাবেন। ফলে আপাতত পূর্ণিমা নন, পুরসভা চালাবেন নির্দল শীলাই।বৃহস্পতিবার বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিচারপতি অপূর্ব সিংহের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দিল, একক বেঞ্চ পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত পুরপ্রধান পদে শীলাই থাকবেন। আদালতের নির্দেশ শুনে শীলা বলেন, ‘‘সত্যের জয় হয়েছে। গণতন্ত্রপ্রেমী মানুষের জয় হয়েছে।’’

আরও পড়ুন – শ্রীলঙ্কার জনপ্রিয় গানের সুরে ত্রিপুরা ভোটের ‘থিম সং’ বিজেপির

কংগ্রেসের আবেদনের ভিত্তিতে উচ্চ আদালতের বিচারপতি অমৃতা সিংহ অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দেন শীলার (shila) প্রার্থিপদ খারিজের সিদ্ধান্তের উপর। সুদীপকে চেয়ারম্যান করার সিদ্ধান্তেও স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে বিচারপতি নির্দেশ দেন, আদালতের পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত পুরসভা চালাবেন প্রয়াত কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুর স্ত্রী পূর্ণিমা কান্দু (Purnima Kandu) । একক বেঞ্চের সেই নির্দেশের বিরুদ্ধেই ডিভিশন বেঞ্চে যায় রাজ্য।

(সব খবর, ঠিক খবর, প্রত্যেক মুহূর্তে ফলো করুন facebook পেজ এবং youtube )