পঞ্চায়েত ভোট ঘোষণা হতেই রাজ্যে চলছে দলবদলের খেলা ,মন্তব্য করলেন হুগলির BJP সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়

পঞ্চায়েত ভোট ঘোষণা হতেই রাজ্যে চলছে দলবদলের খেলা ,মন্তব্য করলেন হুগলির BJP সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। পঞ্চায়েত ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা হতেই রাজ্য জুড়ে শুরু হয়েছে দলবদলের খেলা। এক দল ছেড়ে অন্য দলে যোগদান করছেন কাতারে কাতারে কর্মী সমর্থকরা। আর এই আবহেই প্রায় বোমা ফাটালেন হুগলির BJP সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়।

 

 

 

 

তিনি জানিয়েছেন, “তৃণমূলে যারা প্রার্থী হতে পারবেন না তাঁরা ইতিমধ্যেই আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে শুরু করেছেন। তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হলেই তাঁরা BJP-তে যোগদান করবেন।” আজ সিঙ্গুরে এসে চাঞ্চল্যকর দাবি করলেন হুগলির BJP সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়।

 

 

 

 

অনেকেই কংগ্রেসে যোগদান করছে।এই প্রসঙ্গে সাংসদ লকেট বলেন, “সাগরদিঘি নির্বাচনে আমরা দেখেছি তৃণমূলে চলে যাওয়া। এটা একটা রাস্তা। তৃণমূলে থাকতে না পেরে কংগ্রেসে গিয়ে জিতে আবার তৃণমূলে ব্যাক করবে। ঘুরিয়ে নাক দেখানো। আর কে তৃণমূল, কে কংগ্রেস, কে CPIM সব এক। তারা আবার ফিরে আসার জন্যই কংগ্রেসে গিয়ে ঘুরপথে তৃণমূলে আসছে।”

 

 

 

সেই সঙ্গে লকেট বলেন,”আমরা চাই,আমাদের দলের প্রার্থী থেকে শুরু করে সব দলের প্রার্থীরা মনোনয়ন জমা করে ভোটে লড়ুন। যারা ভোটে লড়তে চান সবাই লড়ুন।কিন্তু প্রশাসনকে বলব সবার জন্য নিয়ম এক রাখতে।তৃণমূলের জন্য এক নিয়ম, আর বাকিদের জন্য আলাদা নিয়ম,এসব চলবে না।”

 

 

 

 

তিনি আরও বলেন,”আমি সাংসদ।আমি আমার নিরাপত্তারক্ষী ছাড়াই ব্লক অফিসে প্রবেশ করেছি, মনোনয়ন জমা দেওয়া করিয়েছি।তৃণমূলের নেতাদেরও তাই করতে বলতে হবে।ওরা ১০০ জনকে নিয়ে এসে সবাই মিলে ঢুকে মনোনয়ন জমা করবে,তা চলবে না।”

 

 

আরও পড়ুন –  সাত জেলায় অবিলম্বে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করতে হবে’, পঞ্চায়েত মামলায় নির্দেশ হাইকোর্টের…

 

 

 

বিভিন্ন জায়গায় বিরোধীদের মনোনয়ন জমা করতে বাধা দিচ্ছে শাসক দল।সেই প্রসঙ্গে লকেট বলেন,”ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি তো পঞ্চায়েতে হবেই। ২০১৮ সালের পুনরাবৃত্তি চলছে।কোনও কোনও জায়গায় নমিনেশন দিয়ে জয় ঘোষণা করে দিচ্ছে।এই সন্ত্রাস পুরো বাংলাতেই চলে।পঞ্চায়েত ভোটটা ওদের হাতেই আছে।কিন্তু সব থেকে বড় ব্যাপার নিজেদের গোষ্ঠীকোন্দলের জন্য শাসক দল এখানে নমিনেশন জমা দিতে পারছে না। এখনও প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হয়নি।যেই প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হবে যারা প্রার্থী হতে পারবে না,অনেকেরই ফোন আসা শুরু হয়ে গিয়েছে। তারা ভারতীয় জনতা পার্টিতে যোগদান করতে প্রস্তুত।”