অধিবেশনে বাজপেয়ীকে উদ্ধৃত করে মোদী বললেন, ‘সরকার আয়েঙ্গে, যায়েঙ্গে, পার্টি বনেগি, বিগড়েঙ্গি, মগর ইস দেশ রহনা চাহিয়ে।’

অধিবেশনে বাজপেয়ীকে উদ্ধৃত করে মোদী বললেন, 'সরকার আয়েঙ্গে, যায়েঙ্গে, পার্টি বনেগি, বিগড়েঙ্গি, মগর ইস দেশ রহনা চাহিয়ে।'

সোমবার থেকে সংসদের শুরু হয়েছে বিশেষ অধিবেশন। চলবে আগামী ৫ দিন অর্থাৎ ২২ সেপ্টেম্বর অবধি। আর এদিনই শেষ হচ্ছে সংসদের পুরনো ভবনের অধিবেশন। মঙ্গলবার থেকে অধিবেশন বসবে নতুন সংসদ ভবনে (Narendra Modi Speech in Old Parliament)। সোমবার থেকে শুরু হওয়া সংসদের বিশেষ অধিবেশনের দিনটি তাই উপস্থিত সব সাংসদই কম-বেশি আবেগ তাড়িত। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও ব্যতিক্রম নন।

আরও পড়ুনঃ মানিকের বিরুদ্ধে দুপুর ২টোর মদ্ধ্যে সিবিআইয়ের রিপোর্ট তলব বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

সোমবার অধিবেশনের শুরুতে উদ্বোধনী ভাষণে প্রধানমন্ত্রী মূলত স্মৃতিচারণা করেন। স্বভাবসুলভভাবে বিরোধীদের আক্রমণের পথে হাঁটেননি। পূর্বসূরিদের স্মরণ করতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী দলীয় সতীর্থ অটল বিহারী বাজপেয়ীর সংসদ ভাষণের একটি ঐতিহাসিক লাইনের উল্লেখ করেন (Narendra Modi Speech in Old Parliament)। সংসদে অনাস্থা প্রস্তাবের উপর বিতর্কের জবাবি ভাষণে বাজপেয়ী (Atal Bihari Vajpayee) বলেছিলেন, ‘সরকার আয়েঙ্গে, যায়েঙ্গে, পার্টি বনেগি, বিগড়েঙ্গি, মগর ইস দেশ রহনা চাহিয়ে।’ অর্থাত্‍ সরকার আসবে, যাবে, পার্টি তৈরি হবে, কিন্তু দেশ থাকবে।

 

বাজপেয়ীর এই কথাটি একটা সময় কেন্দ্রের ক্ষমতা হারানোর পর বিজেপির কর্মী-সমর্থকদের মুখে ভাষা দিয়েছিল। বিজেপির প্রথম প্রধানমন্ত্রী বোঝাতে চেয়েছিলেন, দেশ আগে, দল পড়ে। আসন্ন লোকসভা ভোটের প্রেক্ষাপটে মোদীর মুখে দলীয় পূর্বসূরির এই কথাটি অন্য মাত্রা পেয়েছে। বিরোধীদের কেউ কেউ বলার চেষ্টা করছেন, কথাটি মোদী সরকারের ক্ষেত্রেও সত্যি। কিন্তু বাজপেয়ীর সঙ্গে বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর ফারাক হল, মোদী নিজেই প্রকাশ্যে দাবি করে বসেছেন, ফের তিনি প্রধানমন্ত্রী হবেন। এমনকী নানা অবকাশে বুঝিয়ে দিয়েছেন, লড়াই তাঁর সঙ্গে বাকিদের।

 

অবশ্য সোমবার সংসদে প্রধানমন্ত্রী আগাগোড়া বিনম্র থাকার চেষ্টা করেছেন। দিনটির গুরুত্বের বিচারে তাঁর ভাষণে তেমন গভীরতা, ধার-ভার না থাকলেও বক্তৃতার মেঠো চরিত্র চোখে পড়েনি। মূলত প্রাক্তনদের স্মৃতিচারণা করেছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ শেষ হতেই লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা সদস্যদের উদ্দেশে বলেন, দিনটির গুরুত্বের কথা বিবেচনায় রেখে যেন সকলে বক্তব্য পেশ করেন। বাদ-বিবাদ পরিহার করার আহ্বান জানান তিনি। সংসদে প্রধানমন্ত্রী আগাগোড়া বিনম্র থাকার চেষ্টা করেছেন। দিনটির গুরুত্বের বিচারে তাঁর ভাষণে তেমন গভীরতা, ধার-ভার না থাকলেও বক্তৃতার মেঠো চরিত্র চোখে পড়েনি। মূলত প্রাক্তনদের স্মৃতিচারণা করেছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ শেষ হতেই লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা সদস্যদের উদ্দেশে বলেন, দিনটির গুরুত্বের কথা বিবেচনায় রেখে যেন সকলে বক্তব্য পেশ করেন। বাদ-বিবাদ পরিহার করার আহ্বান জানান তিনি।

en.wikipedia.org