ক্যানসারের চিকিৎসা করাতে চাননি সঞ্জয় দত্ত । ২০২০ সালে ফুসফুসের ক্যানসারে আক্রান্ত হন বলিউড তারকা সঞ্জয় দত্ত।এরপর বিদেশে হয় তাঁর চিকিৎসা ।এরপর তিনি ক্যানসার মুক্ত হন। সঠিক সময়ে চিকিৎসা শুরু হওয়ার ফলে মারণ রোগকে হারিয়ে আবার সুস্থ স্বাভাবিক জীবনে ফিরেছেন সঞ্জয় দত্ত। ক্যানসার জয় করে একাধিক ছবির কাজ ও করছেন জোরকদমে। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে অভিনেতা জানালেন যে, তিনি মারণ রোগের চিকিৎসাই করাতে চাননি পাশাপাশি তার পিছনে কারণ ব্যাখ্যা করলেন ।
কেন ক্যানসারের চিকিৎসা করাতে চাননি বলিউড তারকা সঞ্জয় দত্ত?
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বলিউড অভিনেতা সঞ্জয় দত্ত জানালেন যে, তিনি সেসময়ে ‘শামশেরা’ ছবির শ্যুটিং করছিলেন। সেই সময়েই তাঁর ক্যানসার ধরা পড়ে। অভিনেতা বলছেন, ‘আমার পিঠে আচমকা ব্যথা শুরু হয়। পিঠে ব্যথার জন্য গরম জলের বোতল দিয়ে সেঁক দিই। আর পেন কিলার খেয়েছিলাম। কিন্তু তার একদিন পরই আমি যেন শ্বাস নিতে পারছিলাম না। আমাকে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসকেরা আমার পরিবারকে জানান যে, আমার ক্যানসার হয়েছে। কিন্তু আমার বাড়ির কেউ সে কথা আমায় বলেনি। আমার স্ত্রী, বোন, পরিবারের কেউ আমায় ক্যানসারের কথা জানায়নি। একদিন একলা বসে রয়েছি, একজন এসে আমায় বলে যে, ‘তোমার তো ক্যানসার হয়েছে।’ ক্যানসারের কথা জানার পর আমি ঠিক করেছিলাম, চিকিৎসা করাবো না। বিনা চিকিৎসায় মারা যাব তবু কেমোথেরাপি করাবো না। সেই সময় আমার স্ত্রী দুবাইতে ছিল। তাই প্রিয়া (বোন প্রিয়া দত্ত) আসে আমার কাছে। ও আমায় বলে ক্যানসারের কথা। শোনার পরই আমার প্রথম প্রতিক্রিয়া ছিল যে, আমার মনের মধ্যে পুরনো অনেক স্মৃতি ভেসে উঠেছিল কারণ আমার পরিবারের সঙ্গে ক্যানসারের সমস্ত ঘটনা যেন দেখতে পাচ্ছিলাম। আমার মা মারা গিয়েছিলেন প্যানক্রিয়াটিক ক্যানসারে। আমার স্ত্রী (রিচা শর্মা) মারা গিয়েছিলেন ব্রেন ক্যানসারে। তাই আমি প্রথমেই বলে দিয়েছিলাম যে, আমি কেমোথেরাপি করাতে চাই না। বদলে আমি মরতেও রাজি। আমি মারা যাব তবু ভালো কিন্তু কোনওরকম ভাবে চিকিৎসা করাতে চাই না।’
আরোও পড়ুন- বিশ্বের দীর্ঘতম লাক্সারি ক্রুজের উদ্বোধনে মোদী
প্রসঙ্গত, সঞ্জয় দত্তের ক্যানসারের কথা জানার পরই দুবাই থেকে দ্রুত ফিরে আসেন স্ত্রী মান্যতা। অভিনেতার সঙ্গে ছিলেন দুই বোন প্রিয়া এবং নম্রতা।