দিঘায় গিয়ে সরকারি খাতায় করতে পারবেন ‘কমপ্লেন’, একটি হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরও চালু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে পর্ষদের তরফে। বিস্তারিত জানুন,

দিঘায় গিয়ে সরকারি খাতায় করতে পারবেন ‘কমপ্লেন’, একটি হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরও চালু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে পর্ষদের তরফে। বিস্তারিত জানুন, ভাড়া বেশি? খাবারে মান খারাপ? দিঘায় গিয়ে সরকারি খাতায় করতে পারবেন ‘কমপ্লেন’ জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজির উদ্যোগে ওই প্রয়াস নেওয়া হয়েছে। সমুদ্রের টানে দিঘায় বেড়াতে এসে প্রায়ই নানান সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় পর্যটকদের। হোটেল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে মাত্রাতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ থেকে শুরু করে খাবারের গুণমান নিয়ে প্রায়ই প্রশ্ন ওঠে। দাপট, দৌরাত্ম্য কম থাকে না শহরের অটো-টোটো চালকদের। কিন্তু এ সবের বিরুদ্ধে এতদিন পর্যটকদের অভিযোগ জানানোর উপযুক্ত পরিকাঠামোই ছিল না দিঘায়। ফলত প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হচ্ছিল প্রশাসনকে। তাই এবার জেলাশাসকের নির্দেশ মেনে শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় বাধ্যতামূলভাবে অভিযোগ জানানোর জন্য কমপ্লেন বক্স বসানোর উদ্যোগ নিচ্ছে দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদ। কমপ্লেন বক্সটি এমন জায়গায় রাখতে হবে যাতে সবার নজরে আসে। পর্যটকরা তাঁদের অভিযোগ সরাসরি এই বক্সে জমা দিতে পারেন। পাশাপাশি একটি হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরও চালু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে পর্ষদের তরফে। জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজির উদ্যোগে ওই প্রয়াস নেওয়া হয়েছে।

 

 

দিঘায় আগের থেকে পাল্লা দিয়ে বেড়ে চলেছে লোক ঠকানার কারবার। এই প্রতারণা এবার থেকে বন্ধ করতে হবে বলে সতর্ক করে দিয়েছেন জেলাশাসক। চলতি মাসেই এ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করা হবে বলে জানিয়েছেন পর্ষদ প্রশাসক মানস কুমার মণ্ডল। তিনি আরও বলেন, “এ ব্যাপারে আমরা শহরের হোটেল বা খাবারের দোকানগুলিকে সতর্ক করব। তারপরও অভিযোগ পেলে এবং তদন্তে দোষী প্রমাণিত হলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কমপ্লেন বক্সের পাশাপাশি হোয়াটস অ্যাপে জানালেও অভিযোগকারীকে সহযোগিতা করা হবে।” এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন পর্যটকরা। এখন দেখার নতুন এই ব্যবস্থায় কতটা হুঁশ ফেরে এবং সতর্ক হন সৈকতের অসাধু ব্যবসায়ীরা।

 

 

আরও পড়ুন – জামিন খারিজ আদিলের, কারণ সম্প্রতি কর্ণাটক পুলিশের কাছে নয়া অভিযোগ দায়ের করা…

 

বিগত এক দশকে দিঘার উন্নয়নে বাড়তি গুরুত্ব দিয়েছে রাজ্যের সরকার। কয়েক মাস আগেই চালু হয়েছে মেরিন ড্রাইভ। পুরীর আদলে তৈরি হচ্ছে জগন্নাথ মন্দির। এছাড়াও আরও একাধিক প্রকল্পের কাজও শেষ হয়েছে ইতিমধ্যে। সব মিলিয়ে উন্নয়নের ছোঁয়ায় নতুন মাত্রা পেয়েছে সমুদ্র শহর দিঘা। পাশাপাশি স্বনির্ভর গোষ্ঠীদের নিয়ে পথ সাথীর মডেল ‘রান্নাঘর’ করাও হচ্ছে যাতে দিঘায় এসে চড়ুইভাতি করার সুযোগ মানুষ পান এবং দিঘা পরিচ্ছন্নও থাকে।