আকাশে স্বর্গের দরজা? রহস্যময় ছায়া ঘিরে চাঞ্চল্য নেট দুনিয়া, রইলো ভিডিও

আকাশে স্বর্গের দরজা? রহস্যময় ছায়া ঘিরে চাঞ্চল্য নেট দুনিয়া। বর্তমানে বিশ্বের অধিকাংশ মানুষের পকেটেই রয়েছে স্মার্টফোন। আর স্মার্টফোনের ক্যামেরার দৌলতে, সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রতিদিনই বিবিধ অদ্ভুত ছবি ও ভিডিয়ো দেখা যায়। আসলে, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে মানুষ যতই এগোক, প্রকৃতিতে আজও ঘটে চলে এমন কিছু ঘটনা, যা অতি প্রখর মস্তিষ্কের মানুষকেও বিস্মিত করে। সম্প্রতি, বেঙ্গালুরুর আকাশেও দেখা গেল এই রকমই এক রহস্যময় দৃশ্য। প্রথম নজরে মনে হতে পারে আকাশে বোধহয় একটি দরজা তৈরি হয়েছে। অন্তত সেই রকম একটি ছায়াচিত্র তৈরি হয়েছে।

 

 

 

 

 

 

স্বাভাবিকভাবেই ভিডিয়োটি ইন্টারনেটে দ্রুত ভাইরাল হয়েছে। আকাশে ওই জিনিসটি ঠিক কী, সেই বিষয়ে বেশ কিছু মতামত এসেছে। কেউ বলেছেন, এটা কোনও অপটিক্যাল ইলিউশন, বা দৃষ্টিভ্রম। কেউ কেউ মজা করে বলেছেন, এটা অন্য এক জগতে প্রবেশের দরজা অথবা ভিনগ্রহীদের মহাকাশযান। কারও কারও মত, ওটি সম্ভবত কোনও স্পটলাইটের আলো। অনেক দূর থেকে সেই আলো এসে আকাশে মেধের উপর পড়েছে। ওই জায়গা থেকে ৯ কিলোমিটার দূরে হেন্নুরে একটি টেকনো ফেস্টিভ্যাল-সহ ওই রাতে বেঙ্গালুরুতে বেশ কয়েকটি বড় মাপের পার্টি ছিল। সম্ভবত সেই পার্টি থেকেই স্পটলাইটের ফলে, ওই ছায়া চিত্র তৈরি হয়েছে।

 

 

 

 

এক ব্যক্তি এই ঘটনার বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা দিতে চেয়েছেন। তিনি বলেছেন, সম্ভবত অনেক দূরে কোনও বহুতল ভবন থেকে ওই ছায়া তৈরি হয়েছে। বৃষ্টির দিনে তাপমাত্রা কমে যাওয়ার ফলে রাতে মেঘ অনেক নীচের স্তরে নেমে আসে।ভবনটির চারপাশ দিয়ে আলো এসে পড়েছে ওই নীচের স্তরের মেঘে।

 

 

আরও পড়ুন –  পাঠান ছবির পথে এবার জওয়ান? ‘জওয়ান’-এই দেখা মিলবে ‘টাইগার’-এর ?

 

 

 

 

 

 

ভিডিয়ো ক্লিপে দেখা যাচ্ছে,রাতের আকাশে এক আয়তাকার রহস্যময় ছায়া।দেখে দরজা ছাড়া আর কিছু মনে হবে না।কিছু গাছ-গাছালির উপর দিয়ে ওই দৃশ্য দেখা যাচ্ছে।আয়তাকার ছায়াটির চারপাশ দিয়ে আলো দেখা যাচ্ছে।যেন কোনও জোরালো আলোর সামনে বাধা হয়েছে কোনও আয়তাকার দরজা,তারই ছায়া পড়েছে আকাশের বুকে।২৩ জুলাই অর্থাৎ,রবিবার, ভিডিয়োটি পোস্ট করা হয়েছিল।ভিডিয়োটির ক্যাপশন অনুযায়ী, রবিবার রাতে হেব্বল ফ্লাইওভারের কাছে ওই রহস্যময় ছায়া বা বস্তুটি দেখা গিয়েছিল।ওই দরজা-সম ছায়াটি আসলে কী,সেই প্রশ্ন উঠেছে নেটদুনিয়ায়।এটি কি কোনও ভবনের ছায়া?অনেকে এই ঘটনার বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যাও খুঁজেছেন।