বাংলায় কবে বর্ষার প্রবেশ ? জানিয়ে দিল আবহাওয়া দফতর,

বাংলায় কবে বর্ষার প্রবেশ ? জানিয়ে দিল আবহাওয়া দফতর, বাংলায় বর্ষা ঢুকবে দেরিতে। আন্দামানে আগাম এলেও দেশের মূল ভূখন্ডে বর্ষা ঢুকতে অনেকটাই দেরি হচ্ছে। উত্তর-পূর্ব ভারত হয়ে বাংলায় কবে বর্ষা প্রবেশ করবে বর্ষা তা নিয়ে সন্ধিহান আবহাওয়াবিদরা। চলতি বছরে আগাম বর্ষা ঢুকে ছিল আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে। সেখানে এখন লাগাতার ভারি থেকে অতি ভারি বৃষ্টি হচ্ছে। ১৯ মে নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে বর্ষা ঢুকে পড়ার পর সেখানেই থমকে দাঁড়িয়ে যায়। এর পর তার সামান্যই অগ্রগতি হয়েছে।

 

 

 

 

 

আগুন গরমে আরও কয়েকদিন পুড়তে চলেছে বাংলা। কলকাতায় ৪০ ডিগ্রি ছুঁতে পারে পারদ। আরও ৫ দিন তাপপ্রবাহ চলবে। কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের ১১টি জেলায় তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি হয়েছে। একদিকে লু বইবে, আরেক দিকে প্যাচপ্যাচে গরমে বাড়বে অস্বস্তি। সর্বোচ্চ তাপমাত্রার সঙ্গে সঙ্গে সর্বনিম্ন তাপমাত্রাও বাড়বে। ফলে দিনের পর রাতেও অস্বস্তিকর আবহাওয়া। দার্জিলিং জেলার সমতল এলাকা ও উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি তৈরি হবে। কলকাতায় আজ সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের তুলনায় ২ ডিগ্রি বেশি। ঝাড়খণ্ড ও সিকিমেও তাপপ্রবাহের সতর্কতা রয়েছে।

 

 

 

 

আবহাওয়া দফতরের ক্যালেন্ডার অনুযায়ী ১ জুন আরব সাগর পেরিয়ে ভারতের মূল ভূখণ্ড কেরলে প্রবেশ করার কথা দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর। ইতি মধ্যে ৬দিন পেরিয়ে গেলেও এখনো পর্যন্ত বর্ষা লাক্ষাদ্বীপের কাছেই আটকে আছে। ইতিমধ্যেই দক্ষিণ-পূর্ব আরব সাগরে ঘুর্ণাবর্ত নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এই নিম্নচাপ আগামী ২৪ থেকে ৪৮ ঘন্টায় গভীর থেকে অতি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে। শেষ পর্যন্ত এই সিস্টেমের হাত ধরেই কেরলে বর্ষা প্রবেশ করতে পারে বলে অনুমান আবহাওয়াবিদদের।

 

 

 

আরও পড়ুন – করমণ্ডল দুর্ঘটনায় আহতদের দেখতে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে মমতা ,

 

 

 

ভারতের মূল ভূখণ্ড কেরলের পর একেবারে দক্ষিণ ভারত থেকে উত্তর-পূর্ব ভারতে চলে আসে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু। উত্তর পূর্ব ভারতের রাজ্য আসাম মেঘালয় হয়ে উত্তরবঙ্গে প্রবেশ করে বর্ষা। উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়িতে ৭ জুন বর্ষা প্রবেশের স্বাভাবিক দিন। এখন রাজ্যে যে তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি চলছে তাতে এবার বর্ষা বেশ কয়েক দিন পরে ঢুকবে বলে অনুমান আবহাওয়াবিদদের। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অনুকূল পরিস্থিতি না থাকার কারণেই দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা ঢুকবে দেরিতে।