ভবঘুরে মহিলার গালে কামড় পুরোহিতের!

ভবঘুরে মহিলার গালে কামড় পুরোহিতের!

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram

পূর্ব মেদিনীপুর – নিষেধ সত্ত্বেও মন্দির চত্বরে প্রস্রাব করায় ভবঘুরে মহিলার গালে কামড় বসিয়ে মাংস তুলে নিল পুরোহিত। তারপর ওই পুরোহিত বিবস্ত্র অবস্থায় উদ্দাম নাচতে থাকে। ঘটনার জেরে শুক্রবার সন্ধ্যায় তমলুক থানার সোনাপেত্যায় শনি মন্দিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। আশপাশের এলাকা থেকে লোকজন জড়ো হন।তাঁরা ওই পুরোহিতকে পুলিসের হাতে তুলে দেন। পাশাপাশি ওই ভবঘুরে মহিলাকে তমলুক মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, তমলুক থানার খামারচক গ্রামের সুজন মিশ্র প্রায় দু’বছর ধরে সোনাপেত্যায় একটি শনিমন্দিরে পুজো করে। প্রতিদিন সকাল ও বিকেলে দু’বার বাড়ি থেকে মন্দিরে এসে পুজো করত। পুজো শেষে আবার বাড়ি ফিরে যেত। শুক্রবার সন্ধ্যায় ওই পুরোহিত মন্দিরে ছিল। সেই সময় ভবঘুরে এক মহিলা প্রস্রাব করার জন্য সেখানে যায়। পুরোহিতের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ভবঘুরে মহিলা সেখানেই প্রস্রাব করেন। এরপরই ক্রোধে ওই মহিলার বাঁ গালে কামড় বসিয়ে মাংস তুলে নেয়। খুবলে নেওয়া মাংস মুখ থেকে ফেলে ওই পুরোহিত নগ্ন হয়ে একটি পাঁচিলে উঠে বসে। খবর পেয়ে প্রচুর লোকজন জড়ো হন। তাঁরা ওই পুরোহিতকে পাঁচিল থেকে নেমে আসতে বললেও সে আসেনি। এরপর টেনেহিঁচড়ে তাকে নামিয়ে উত্তমমধ্যম দেওয়া হয়। খবর পেয়ে তমলুক থানার পুলিস ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। উত্তেজিত জনতা তাকে পুলিসের হাতে তুলে দেয়।


ওই পুরোহিতের বাবা হিমাংশু মিশ্র বলেন, গত দু’বছর ধরে ছেলে সোনাপেত্যা টোলপ্লাজা সংলগ্ন ওই মন্দিরে পুজো করে। রোজ দু’বেলা বাড়ি থেকে এসে পুজো করত। শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা নাগাদ আমি একটি ফোন পাই। তাতে জানানো হয়, ছেলে একজনের গালে মাংস তুলে নিয়েছে। তারপর ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি, প্রচুর লোকজন জড়ো হয়েছে। ছেলে অস্বাভাবিক আচরণ করছে। আমার ছেলে বিবাহিত। দুই নাতনিও আছে। এরকম ঘটনা কেন ঘটাল বুঝতে পারছি না।সোনাপেত্যা গ্রাম কমিটির সম্পাদক মানিক জানা বলেন, ওই পুরোহিত প্রায় দু’বছর ধরে এখানে মন্দির বানিয়ে পুজো করছে। তারমধ্যে কখনও কোনও অস্বাভাবিক আচরণ লক্ষ্য করিনি। শুক্রবার সন্ধ্যার ঘটনা একেবারে অন্যরকম ছিল। মহিলার গালে কামড় বসিয়ে মাংস তুলে নিয়েছে। তারপর বিবস্ত্র অবস্থায় উন্মাদের মতো করছিল। লোকজন জড়ো হওয়ার পর একটি পাঁচিলের উপর উঠে বসে। সেখান থেকে কিছুতেই নামছিল না। লোকজন মুখে টর্চের লাইট জ্বেলে চিৎকার চেঁচামেচি করার পরও নিশ্চুপ ছিল। তারপর টেনেহিঁচড়ে তাকে নামানো হয়েছে।

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top