টাকার পাহাড়ে বাংলা, এপ্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ কি বলেন

টাকার পাহাড়ে বাংলা। এপ্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন…..
আমরা সোনার বাংলার কল্পনা করছিলাম সোনার বাংলা বানাবো তৃণমূল সোনার বাংলা বানিয়ে দিল এটাও একটা দেখার বড় ইচ্ছে আমরা বলতাম পশ্চিমবঙ্গ গরীব হয়ে গেছে বাংলার মানুষ গরিব হয়ে গেছে, ওইসব টাকার পাহাড় দেখলে কেউ বলবে না পশ্চিমবাংলার মানুষ গরীব বা পশ্চিমবাংলা গরিব।

*
কেউ বলতে পারছে না কে চোর কে সাধু। এপ্রসঙ্গে তিনি বলেন….
* এপ্রসঙ্গে তিনি বলেন ওদের বলার দিন শেষ হয়ে গেছে ভয় দেখানো চমকানো দিন শেষ এখন মানুষ বলবে ইডি বলবে বাকিটা আদালত বলবে।
পার্থবাবু চেহারা এখনো চকচক করছে এতবার জেরা হওয়ার পরে চেহারার মধ্যে কোনরকম দাগ পড়েনি
দিদিমণি সিদ্ধান্ত সঠিক দলের সিদ্ধান্ত প্রভাব পড়বে তদন্তে পার্থ চ্যাটার্জির মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে তিনি বলেন দিদি সিদ্ধান্ত নিতে চাননি তাই উনি সই করেননি উনি ছিলেন না পার্টির ভেতরে বিদ্রোহ শুরু হয়েছে বাধ্য হয়ে তিনি মেনে নিয়েছেন সাত দিন সময় লেগেছে সিদ্ধান্ত নিতে সেই জন্য পুরো পার্টিটা ডুবে যাচ্ছিল পার্টিকে বাঁচানোর জন্য উনাকে বাদ দেওয়া হয়েছে। তারা যতই বলুক আমরা কিছু জানি না এত জায়গার টাকা বান্ডেল পান্ডে নোট পড়ে আছে কেউ কিছু জানতো না সোনার পাশে বসে এরকম ডাকাতি হচ্ছে আমার মনে হয় এখন সব বেরোবে আস্তে আস্তে।

 

বিপদের দিনে যে পাশে থাকে সে আসল বন্ধু হয় পার্থ চ্যাটার্জি বিপদের দিনে দল ও সরকার তার কাছ থেকে সরে গেলএ প্রসঙ্গে তিনি বলেন….
দেওয়ালে এত লেখা আছে শীত ,গ্রীষ্ম বর্ষা মমতা ব্যানার্জি, ভরসা কি হল মমতা ব্যানার্জি ফোনটাও তুললেন না, কিসের ভরসা এরপর মমতা ব্যানার্জি ওপর কেউ ভরসা করবেন বলে তিনি প্রশ্ন তোলেন।
উনি উনার উপর ভরসা করে এতদিন পার্থ বাবুকে দেখেছিলেন উনার যখন দরকার হলো আর দিদিমণিকে পাশে পাননি।

 

পার্থ চ্যাটার্জি কুনাল ঘোষকে একসময় সরিয়েছিলেন কুনাল ঘোষ পার্থ চ্যাটার্জিকে সরালেন এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন….
দেখুন কে সরাবে আমার মনে হয় যে দিন আসছে সত্যি সত্যি তদন্ত হয় মন্ত্রী বিধায়ক সংসদ অনেককেই সরতে হবে ক্ষমতা বাঁচানোর জন্য দৌড়াচ্ছেন এদিক-ওদিক দিল্লী পর্যন্ত যাচ্ছেন তো সাধারণ মানুষ অপরিসীম কষ্ট দুঃখ লজ্জা অপমানের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন সেখান থেকে মুক্তি চাই আর মুক্তি এই সরকার যতদিন থাকবে হবে না মানুষকে কিছু দিতে পারেননি অপমান আর গ্লানি দিয়েছেন মানুষকে বাংলা ছাড়া করেছেন এর যে পাপ তা ভুগতেই হবে।

 

মুখ্যমন্ত্রীর দিল্লি সফর প্রসঙ্গে তিনি বলেন….
আমরা একটা ট্রেন্ড দেখি যখন উনি সংকটে পড়েন ত্রাহী মধুসূদনম বলে দিল্লি চলে যান। কত লোক উনার সাথে দেখা করার চেষ্টা করেন এইসব করে অনেকবার মূল বিষয় থেকে দৃষ্টিভঙ্গি করানোর চেষ্টা করেছেন। রোজ উত্তর দিতে হচ্ছে, নিজের লোকেরা বিগড়ে যাচ্ছে এইসব দেখতে ভালো লাগে না তাই একটু শান্তির জন্য দিল্লি যাচ্ছেন।

আরও পড়ুন – সমগ্র দেশের পাশাপাশি আমাদের রাজ্যে ও বাড়ছে হ্যাকার দের দৌরাত্ম

এসএসসি চাকরি প্রার্থীরা অভিষেক ব্যানার্জীর সাথে বৈঠক করেছেন। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন….
কতজন চাকরি প্রার্থী। আলাদা আলাদা দেখুন ধর্মতলার কাছে আলাদা আলাদা গ্রুপ বসে আছে গত ১০ থেকে ১১ বছর ধরে প্রত্যেকটি পরীক্ষা নিয়ে গন্ডগোল হয়েছে। চাকরি পেয়েছেন যারা টাকা দিয়ে পেয়েছেন যারা যোগ্য তারা চাকরি পায়নি তারা আন্দোলন করছে, তাদের সাথে কেউ কথাও বলেনি নির্বাচনের পরে কথা বলবে বলেও কথা বলেননি আমি জানিনা উনার কি অথারিটি আছে যিনি কথা বলছেন মহামন্ত্রী কি করতে পারবেন যদি পারেন যারা বঞ্চিত তাদের টাকা কি ফেরত দিতে পারবেন আর যারা পরীক্ষায় পাস করে চাকরি পায়নি, তাদের কি সমাধান করতে পারবেন যদি হয় খুব ভালো হয়।