বাংলার কয়লা খনির একটি দুর্ঘটনা নিয়ে সিনেমা অক্ষয়, শত্রুঘ্ন ও অমিতাভ বচ্চনের

বাংলার কয়লা খনির একটি দুর্ঘটনা নিয়ে সিনেমা অক্ষয়, শত্রুঘ্ন ও অমিতাভ বচ্চনের। ঘটনাটি ১৯৮৯, ১৬ নভেম্বর। স্থান রানীগঞ্জ। সারাটা দিন রীতিমতো ঝড় বয়ে গিয়েছে বাংলার এই এলাকার উপর থেকে। পশ্চিমবঙ্গের রানীগঞ্জের কয়লা খনিতে তখন চারিপাশ থেকে ভেসে আসছে গেল গেল রব। মহাবীর কোলিয়ারিতে সেই সময় শয়ে শয়ে শ্রমিক আটকা পড়ে গিয়েছে খনিগর্ভে। চীৎকার, হাহাকারে ভরে গিয়েছে চারপাশ। মোট ২২০ জন শ্রমিকের মধ্য়ে ঘটনাস্থলেই সেদিন মারা যান ৬ জন।

 

এরপরই আর অপেক্ষা না করে সেই চক্রব্যুহে ঝাঁপিয়ে পড়েন এক ইঞ্জিনিয়ার। একেবারে অভিনব উপায় এক ক্যাপসুলের মাধ্যমে সেদিন খনিগর্ভ থেকে ৬৫ জনকে জীবিত অবস্থায় ফিরিয়ে আনেন খনি ইঞ্জিনিয়ার যশবন্ত সিং গিল। তারপর থেকেই তাঁকে স্মরণ করে এই দিনটি ‘রেসকিউ ডে’ নামে পালিত হওয়া শুরু হল গোটা দ এবার সেই যশবন্ত সিঙের কাহিনিই ফুটে উঠবে বড় পর্দায়। এর আগেও এই কয়লা খনির কাহিনি উঠে এসেছিল রূপোলি পর্দায়।

 

যেখান মূল চরিত্রে অভিনয় করেছেন অমিতাভ বচ্চন। ছবির নাম ‘কালা পাথ্থার’। যাতে সহ অভিনেতা হিসেবে সেই সময় পর্দা কাপিয়েছিলেন শত্রুঘ্ন সিনহা। সেই সিনেমার পর আবার পর্দায় তেমনই এক কয়লা খনির গল্প। যাতেই প্রধান চরিত্রে অভিনয় করবেন অক্ষয় কুমার। এর আগেও বহু ঐতিহাসিক চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা গেছে অক্ষয়কে। ‘এয়ারলিফট’, ‘কেশরি’ থেকে ‘রুস্তম’ ইত্যাদি সিনেমাগুলি এর আগে দর্শকরা বেশ পছন্দ করেছেন।

আরও পড়ুন – বাংলার নতুন রাজ্যপাল হল প্রাক্তন আইএএস সিভি আনন্দ বোস

ফের একবার এমন এক চরিত্রে তাঁকে দেখে তাই বেশ আশাবাদী সকলে। চলতি বছরের জুলাই মাসে মুক্তি পেয়েছে ছবিটির টিজার। জানা যাচ্ছে, অক্ষয় কুমারের বিপরীতে ছবিতে দেখা যাবে পরিনীতি চোপড়াকে। ছবির নাম ক্যাপসুল গিল। তিনু সুরেশ দোশাইয়ের হাত ধরেই ২০২৩-এর ৩০ নভেম্বর বড় পর্দায় ছবিটি মুক্তি পাবে। ১৬ নভেম্বর কেন্দ্রীয় কয়লা খনি মন্ত্রীর যশবন্ত গিলকে স্মরণ করে একটি ট্যুইট করেন।

 

অক্ষয় কুমার সেটিকে রিট্যুইট করে জোশি প্রহ্লাদকে ট্যাগ করে লেখেন, ‘আমি আপনার কাছে কৃতজ্ঞ,৩৩ বছর আগে ঘটে যাওয়া এই ভারতের কয়লা খনি উদ্ধার অভিযানকে স্মরণ করার জন্যে।‘ ছবির প্রযোজক বাসু ভগনানিও এটিকে রিট্যুইট করে লিখছেন, “এই দিনে প্রয়াত সর্দার যশবন্ত সিং গিলকে স্মরণ করছি, যিনি খুব কঠিন পরিস্থিতিতে রানিগঞ্জের কয়লা খনিতে আটকে থাকা শ্রমিকদের জীবন বাঁচিয়েছিলেন। এটি সত্যিই আমাদের সকলের জন্য ভীষণ গর্বের বিষয় যে আমরা আমাদের পরবর্তী ছবিতে তাঁর এই অবদানের কথা তুলে ধরতে পারব। দুর্ঘটনা নিয়ে বহু সিনেমা দেখেছি কিন্তু কালপাত্থর-এর তুলনা হয়না।