সতীর্থদের কোন বার্তা দিতে চান রোহিত

সতীর্থদের কোন বার্তা দিতে চান রোহিত। এশিয়া কাপ ২০১৬ সালের পর এই প্রথম হবে টি ২০ ফরম্যাটে। রোহিত শর্মা ভারতকে ৩৫টি টি ২০ আন্তর্জাতিকে নেতৃত্ব দিয়েছেন, জয় এসেছে ২৯টি। গত টি ২০ বিশ্বকাপের পর থেকে রোহিতের নেতৃত্বে দারুণ ছন্দে রয়েছে ভারত। সেই ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখাই লক্ষ্য হিটম্যানের। স্টার স্পোর্টসের ফলো দ্য ব্লুজ অনুষ্ঠানে রোহিত বলেছেন, অধিনায়ক হিসেবে সব কিছু স্বাভাবিক রাখারই চেষ্টা করি। কোনও জটিলতা বা সংশয় যাতে না থাকে সেটা নিশ্চিত করার দিকেই আমার ও রাহুল ভাই (হেড কোচ রাহুল দ্রাবিড়)-এর ফোকাস থাকে।

 

সব ক্রিকেটারকেই স্বাধীনভাবে খেলতে দিয়ে থাকি, প্রত্যেককে তাঁদের দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন রেখে। ২০১৮ সালের এশিয়া কাপ প্রসঙ্গে রোহিত বলেন, একাধিক দল খেলছে এমন টুর্নামেন্টে দেশকে সেবারই প্রথম নেতৃত্ব দিয়েছিলাম। মনে আছে, সেবার খুব গরম ছিল। তিন-সাড়ে তিন মাস বাড়ির বাইরে কাটানো ভারতীয় দলের সদস্যরা সোজা ইংল্যান্ড থেকে পৌঁছে গিয়েছিলেন সংযুক্ত আরব আমিরশাহীতে। প্রত্যেকেই দেশকে কাপ জেতানোর বিষয়ে প্রত্যয়ী ছিলেন এবং আমরা ভালো খেলে সেবার চ্যাম্পিয়নও হই।

 

ফাইনাল ম্যাচটি (বাংলাদেশের বিরুদ্ধে) বেশ ক্লোজ ছিল। উল্লেখ্য, সেই এশিয়া কাপের তৃতীয় ম্যাচে ভারত ৬৩ বল বাকি থাকতে ৯ উইকেটে হারিয়েছিল পাকিস্তানকে। পাকিস্তান ৭ উইকেটে ২৩৭ তুলেছিল। রোহিত শর্মা অপরাজিত ছিলেন ১১৯ বলে ১১১ রান করে। শিখর ধাওয়ান করেছিলেন ১১৪ রান। এশিয়া কাপে রোহিত শর্মা খেলেছেন ২৭টি ম্যাচ, ৮৮৩ রান করেছেন, একটি শতরান ও সাতটি অর্ধশতরান রয়েছে। এবারের এশিয়া কাপে ২৫ রান করলেই রোহিত টপকে যাবেন শোয়েব মালিককে (২১ ম্যাচে ৯০৭ রান)। এমনকী সচিন তেন্ডুলকর (২৩ ম্যাচে ৯৭১)-কে টপকে এশিয়া কাপে সর্বাধিক রান সংগ্রহকারী হওয়ার হাতছানি রয়েছে রোহিতের সামনে।

 

ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ প্রসঙ্গে রোহিত বলেছেন, এটা উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচ। সকলে এই ম্যাচের অপেক্ষায় থাকেন। তবে বাইরে হাইপ তৈরি হলেও তা যাতে দলের মধ্যে না থাকে সেটা আমি ও দ্রাবিড় নিশ্চিত করব। এবারের দলে থাকা অনেকেই হয় প্রথমবার পাকিস্তানের বিরুদ্ধে খেলবেন, কেউ বা ১-২টি ম্যাচ খেলেছেন। তাঁদের ম্যাচের আগে এটাই জানিয়ে দেব, পাকিস্তানকে অন্য প্রতিপক্ষের মতো করেই দেখতে। তবে ব্যাট-বলের লড়াইয়ে দাপট বজায় রাখতে হবে। অধিনায়ক রোহিত সতর্ক যাতে এশিয়া কাপের চাপে সতীর্থরা কুঁকড়ে না যান।

 

তাঁর কথায়, অধিনায়ক হিসেবে আমি সব সময়ই এমন পরিবেশ তৈরি করে রাখি যাতে দলের কেউ চাপ অনুভব না করেন। একে অপরের সঙ্গে মজা করে এবং সময় কাটিয়ে সকলে যাতে উপভোগ করতে পারেন সেটাই লক্ষ্য থাকে। চাপ যাতে কারও স্বাভাবিক খেলায় প্রভাব না ফেলে সেটা নিশ্চিত করাই গুরুত্বপূর্ণ। বোলিং বা ব্যাটিং করার সময় একটা চাপ থাকেই। কিন্তু সেটা নিজেদেরই সামলাতে হবে। এ ছাড়াও অনেক বিষয় থাকে। দায়িত্ব বুঝে নিয়ে সেইমতো পারফর্ম করারই বার্তা সতীর্থদের দিতে চান রোহিত।