সংখ্যালঘুরা যেন ‘ভুল’ না করেন, ইমামদের সমাবেশ থেকে স্পষ্ট ভাষায় বুঝিয়ে দিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো , ইমাম-মোয়াজ্জেমদের সমাবেশ যে নিছকই আর পাঁচটা অনুষ্ঠানের মতো নয়, তা আগেই অনুমান করেছিল রাজনৈতিক মহল। এই সমাবেশের রাজনৈতিক গুরুত্ব যে কতটা, সেটাই কার্যত প্রমাণ করলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভোটটা কাকে দিতে হবে, সেটা একেবারে স্পষ্ট ভাষায় বুঝিয়ে দিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। বিশ্লেষকরা মনে করেন, বাংলার রাজনীতিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সংখ্যালঘু ভোটব্যাঙ্ক। সেই ভোটব্যাঙ্ক যার ঝুলিতে থাকবে, সে এগিয়ে যাবে অনেকটাই। আর সেই ভোটের ক্ষেত্রে সংখ্যালঘুদের মধ্যে যাতে ইন্ডিয়া জোট নিয়ে কোনও দ্বন্দ্ব না, সেটাই বোঝালেন তিনি।
রাজনৈতিক মহলের মতে, মমতা বোঝাতে চেয়েছেন যে বাংলার সংখ্যালঘু ভোটটা ভাগ করে দিতে চাইছে বিজেপি। তাতেই ওদের আখেরে লাভ হবে। আইএসএফ-এর নাম না করলেও এই প্রসঙ্গে সেই দলকেই নিশানা করতে চেয়েছেন মমতা। অর্থাৎ সরাসরি তৃণমূলকে ভোট দেওয়ার বার্তা দিয়েছেন বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
নাম না করে নওশাদ সিদ্দিকীর কথা বলার পরই মমতা ফুরফুরা শরিফের নাম নেন। তিনি বলেন, “দরগা বলে ফুরফুরা শরিফকে সম্মান করি, আশা করব তারা রাজনীতিতে প্রবেশ করবে না। ঠিক যেমন আমরা আশা করি বেলুড় মঠও রাজনীতিতে প্রবেশ করবে না।” উল্লেখ্য, ভাঙড়ের বিধায়ক তথা আইএসফ নেতা নওশাদ সিদ্দিকী ফুরফুরা শরিফের একজন পীরজাদা। এছাড়া বাংলার রাজনীতিতে বিভিন্ন সময় ফুরফুরা শরিফ-কে বিশেষ গুরুত্ব দিতে দেখা গিয়েছে একাধিকবার।
আরও পড়ুন – লোকসভা ভোটের আগে মোয়াজ্জেম-ইমাম ভাতা বাড়ল, ঘোষণা মমতার,
বাম, কংগ্রেসকে নিশানা করলেও মমতা বলেছেন, সর্বভারতীয় স্তরে আমি ইন্ডিয়া জোটের সঙ্গে আছি। তাঁর দাবি, মোদী সরকারের মেয়াদ আর মাত্র ৬ মাস বাকি আছে। তার জন্য যা করতে হয়, করবেন বলেও দাবি করেছেন মমতা। তবে তাঁর আর্জি একটাই, সংখ্যালঘুরা যেন ভুল না করেন। ইমামদের সমাবেশে মমতা বলেন, “মনে রাখবেন ওদের টার্গেট আমি। ওরা বাংলার ভোটটা ভাগ করে দিতে চাইছে। কিন্তু আপনারা কখনও ভুল করবেন না।” মহম্মদ ইকবালের লেখা সায়েরি উল্লেখ করে মমতা বার্তা দেন, এমন কিছু ভুল করবেন না, যাতে আফশোস করতে হয়।