বেঙ্গালুরু-সোনা পাচারে অভিযুক্ত জনপ্রিয় কন্নড় অভিনেত্রী রানিয়া রাও । রানীয়া রাওকে জেরার সময় মারধর করা হয়েছে? আন্তর্জাতিক নারী দিবসের মুখে এই প্রশ্নেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে মহিলাদের সম্পর্কে দেশের আইন ব্যবস্থা নিয়ে। আদালতের নির্দেশে ডিরেক্টরেট অফ রেভেনিউ ইন্টেলিজেন্সের হেফাজতে থাকা রানিয়ার চোখের নীচে ফোলা, কালশিটে দাগের ছবি ভাইরাল হতেই প্রশ্নের মুখে পড়েছে তদন্তকারী সংস্থা।
রানিয়ার যে ছবি প্রকাশ্যে এসেছে তাতে পরিষ্কার যে, অভিনেত্রীকে বেঙ্গালুরুর কেম্পেগৌড়া আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গ্রেফতারের সময় অথবা হেফাজতে থাকাকালীন শারীরিক নিগ্রহ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে কর্নাটকের রাজ্য মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন নাগলক্ষ্মী চৌধুরি বলেন, কমিশন স্বতঃপ্রণোদিতভাবে তদন্ত চালাতে পারে না। অভিনেত্রীর তরফে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ করা হলে তখনই কমিশন পদক্ষেপ করতে পারে। তবে তিনি এও বলেন, যদি কেউ তাঁকে শারীরিক নির্যাতন করে থাকেন তাহলে তাঁর এরকম করা উচিত নয়। এটা ঠিক নয়। কেউ আইন নিজের হাতে নিতে পারে না। আইন আইনের পথে চলবে। তবে হেফাজতে কারও উপর নির্যাতন করার অধিকার কারও নেই। তা সে মহিলাই হন, বা অন্য কেউ। আমি অত্যাচারের পুরোপুরি বিরোধী।
তিনি আরও বলেন, রানিয়া কমিশনের কাছে অভিযোগ জানালে তাঁরা অবশ্যই পদক্ষেপ করবেন। উনি তা না করলে আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি লিখতে পারি যাতে তাঁকে সাহায্য করা হয়, যথার্থ তদন্ত চালানো হয় এবং একটি রিপোর্ট দিতে বলতে পারি আমরা। কিন্তু, উনি কোনও অভিযোগ না করায় আমি এর বেশি কিছু বলব না।
ডিআরআই আর্জিতে জানিয়েছিল, এই ঘটনা জাতীয় নিরাপত্তার পক্ষে ভয়ঙ্কর। তাই তাঁকে হেফাজতে নিয়ে আরও জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন আছে। কারণ তদন্তকারীদের অনুমান, এই ঘটনার পিছনে শুধু অভিনেত্রী একা নন, একটি বিরাট চক্র আছে। যার সঙ্গে অনেক হোমড়াচোমড়াও থাকতে পারে। এদিকে, জিজ্ঞাসাবাদের সময় রানিয়া রাও অফিসারদের সামনে কান্নায় ভেঙে পড়েন বলে সূত্র জানিয়েছে। তিনি বলেছেন, সোনা পাচার চক্রে জড়িত নন। তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে।
অন্যদিকে, রানিয়ার আইনজীবী একটি জামিনের আবেদন করেছিলেন আদালতে। আইনজীবী জানিয়েছেন অভিনেত্রী ব্যাঙ্গালোরেরই বাসিন্দা, যখন জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে প্রয়োজন তখন তিনি উপস্থিত থাকবেন,তাই তাকে যেন জামিন দিয়ে দেওয়া হয়।
