ভাইরাল – স্বামী, সন্তান ও আত্মীয়দের সামনে দাঁড়িয়ে শ্বশুরবাড়ির এক আত্মীয়কে বিয়ে করলেন আয়ুশী কুমারী নামের এক তরুণী। বিহারের জামুই জেলার শিখেরিয়া গ্রামে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রীতিমতো শোরগোল পড়েছে সামাজিক ও ডিজিটাল মাধ্যমে। ভাইরাল হওয়া এক ভিডিয়োতে দেখা যায়—কাকার সামনেই সিঁথিতে সিঁদুর পরাচ্ছেন ভাইপো সচিন দুবে।
২০২১ সালে জামুইয়ের বিশাল দুবের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন আয়ুশী। তাঁদের একটি তিন বছরের মেয়েও রয়েছে। কিন্তু বেশ কিছুদিন ধরেই আয়ুশীর ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে ওঠে সচিনের সঙ্গে, যিনি সম্পর্কে আয়ুশীর দূরসম্পর্কের দেওরের পুত্র। প্রথমে সামাজিক মাধ্যমে আলাপ, পরে তা প্রেমে পরিণত হয়।
১৫ জুন আয়ুশী সচিনের সঙ্গে পালিয়ে গেলে বিশাল থানায় স্ত্রীর নিখোঁজ হওয়ার অভিযোগ দায়ের করেন। এরপরেই প্রকাশ্যে আসে প্রেমের সম্পর্ক। আয়ুশী আদালতে বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন জানান এবং মেয়ের হেফাজতের দাবিও প্রত্যাখ্যান করেন।
২০ জুন, দুই পরিবারের সম্মতিতে গ্রামের এক মন্দিরে আয়ুশী ও সচিনের বিয়ে সম্পন্ন হয়। বিয়ের পর সচিন জানান, ‘‘আমরা দু’বছর ধরে প্রেম করেছি। আজ সম্পর্কটিকে সামাজিক স্বীকৃতি দেওয়া হল।’’ তিনি প্রতিশ্রুতি দেন—‘‘আয়ুশীকে সারাজীবন খুশি রাখব।’’
অন্যদিকে আয়ুশীর প্রাক্তন স্বামী বিশাল বলেন, ‘‘ও যদি এই বিয়েতে খুশি হয়, আমি বাধা দেব না। তবে আমার ও পরিবারের বিরুদ্ধে ও যে অভিযোগ করেছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। ও আমার মা ও মেয়ের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করত।’’
বিয়ের ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হতেই নানা প্রতিক্রিয়া ছড়িয়ে পড়েছে। কেউ বলেছেন, “মিঞা-বিবি রাজি, তাহলে আর দোষ কোথায়?”, আবার কেউ কেউ প্রশ্ন তুলেছেন পারিবারিক মূল্যবোধ ও নৈতিকতার উপর।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে জামুই জেলার শিখেরিয়া গ্রামে যেমন চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে, তেমনই সোশ্যাল মিডিয়ায় তৈরি হয়েছে দ্বিমত—কারও চোখে এটি ভালোবাসার জয়, আবার কারও মতে, পরিবার নামক প্রতিষ্ঠান নিয়ে প্রশ্ন।
