প্রযোজনায় আসার ইচ্ছেটা আগেই ছিল, বললেন বাংলাদেশী এই অভিনেত্রী। সিনেমা প্রযোজনা করেছেন অভিনেত্রী নুসরাত ইমরোজ তিশা । সেই সিনেমা মনোনয়ন পেয়েছে একটি আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে। টেলিভিশন নাটকের জনপ্রিয় এই অভিনেত্রী সমান দর্শকপ্রিয়তা পেয়েছেন সিনেমায় অভিনয় করেও।
ফাগুন হাওয়ায়, টেলিভিশন, থার্ড পারসন সিংগুলার নম্বর, হালদাসহ বেশ কয়েকটি সিনেমায় অভিনয় করে প্রশংসা ও খ্যাতি পেয়েছেন তিশা। কাজ করেছেন শ্যাম বেনেগাল পরিচালিত বঙ্গবন্ধু বায়োপিকে। মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে তার অভিনীত প্রীতিলতা ও রক্তজবা নামের দুটি সিনেমা।
‘হালদা’ ও ‘অস্তিত্ব’ সিনেমার জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পাওয়া এই অভিনেত্রী সিনেমা প্রযোজনাসহ নানা বিষয়ে কথা বলেছেন দ্য ডেইলি স্টারের সঙ্গে। আপনার প্রথম প্রযোজিত সিনেমা ‘নো ল্যান্ডস ম্যান’ মনোনীত হয়েছে বুসান ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফ্যাস্টিভ্যালে। কেমন লাগছে? ভালো লাগছে। ভীষণ ভালো লাগছে। এতো বড় একটি ফ্যাস্টিভ্যালে ‘নো ল্যান্ডস ম্যান’, আমি ভীষণ আনন্দিত।
অভিনেত্রী থেকে প্রযোজক হওয়ার আগ্রহ তৈরি হয়েছে কীভাবে? প্রযোজনায় আসার ইচ্ছেটা আগে থেকেই ছিল। কিন্তু কবে থেকে আসব, নাটক নাকি সিনেমা প্রযোজনা করব- এই ভাবনাগুলো ছিল না। তারপর এই সিনেমাটির সময় মনে হলো এখন করা যেতে পারে। বিশেষ কোনো কারণ নেই প্রযোজনায় আসার।
আর ও পড়ুন নুসরতের সিঁথিতে সিঁদুর ! তাহলে কে ঈশানের বাবা ? চড়ছে জল্পনা
সিনেমাটি মুক্তির বিষয়ে কিছু বলা যাবে কী? পরিচালক বলতে পারবেন। এর পোস্ট প্রোডাকশনের কাজ চলছে। সব কাজ আগে শেষ হোক। পায়ের ইনজুরি এবং করোনা পরিস্থিতির মধ্যে সময় কাটছে কী করে? প্রচুর সিনেমা দেখছি, দেশি-বিদেশি সব ধরণের সিনেমা। এ ছাড়া বই পড়ছি। এখন একটু সময় পেয়েছি। তাই সিনেমা দেখে আর বই পড়ে বেশিরভাগ সময় পার করছি।
কাজে ফিরবেন কবে? এখনই বলতে পারছি না। পায়ের ইনজুরি পুরোপুরি ঠিক হোক আগে। তাছাড়া, কোভিড পরিস্থিতির ওপরও অনেক কিছু নির্ভর করছে। আমি এখন উৎসবগুলোতে বেশি কাজ করি। একটু বেছে, ভালো গল্প দেখে, চরিত্র দেখে কাজ করি। সংখ্যাটা কোনো বিষয় না। কয়েক বছর ধরেই কাজ কম করছি। নিয়মিত অভিনয় করতে না পেরে খারাপ লাগে না? একটু তো লাগেই।
আর ও পড়ুন ধীরে ধীরে নিজেদের রঙ নিচ্ছে তালিবান, এবার তারা কী ঘোষণা দিলো?
আবার মনে করি, বিরতিরও প্রয়োজন আছে। শিল্পীরা তাদের জীবনে দর্শকদের যেমন মিস করেন, একজন শিল্পীকেও মিস করার প্রয়োজন পড়ে দর্শকদের । তাহলে শিল্পের প্রতি দরদটা বাড়ে। সিনেমায় কাজের সময়টা কেমন কাটছে? আমি সব সময় ভালো কাজের পক্ষে।
বঙ্গবন্ধুর বায়োপিকে অভিনয় করেছি বেগম ফজিলাতুন্নেসার চরিত্রে। এটা আমার জন্য বড় পাওয়া। তিশা ঐতিহাসিক একটি সিনেমা এটি। আবার প্রীতিলতা সিনেমাটিও আমার জন্য ভালো কিছু হবে। সেলিনা হোসেনের উপন্যাস থেকে নির্মিত হয়েছে প্রীতিলতা।
উল্লেখ্য, অভিনেত্রী থেকে প্রযোজক হওয়ার আগ্রহ তৈরি হয়েছে কীভাবে? প্রযোজনায় আসার ইচ্ছেটা আগে থেকেই ছিল। কিন্তু কবে থেকে আসব, নাটক নাকি সিনেমা প্রযোজনা করব- এই ভাবনাগুলো ছিল না। তারপর এই সিনেমাটির সময় মনে হলো এখন করা যেতে পারে।
বিশেষ কোনো কারণ নেই প্রযোজনায় আসার। সিনেমাটি মুক্তির বিষয়ে কিছু বলা যাবে কী? পরিচালক বলতে পারবেন। এর পোস্ট প্রোডাকশনের কাজ চলছে। সব কাজ আগে শেষ হোক। পায়ের ইনজুরি এবং করোনা পরিস্থিতির মধ্যে সময় কাটছে কী করে? প্রচুর সিনেমা দেখছি, দেশি-বিদেশি সব ধরণের সিনেমা। এ ছাড়া বই পড়ছি। এখন একটু সময় পেয়েছি। তাই সিনেমা দেখে আর বই পড়ে বেশিরভাগ সময় পার করছি।