বাল্যবিবাহকে আইনি মান্যতা দিলো রাজস্থান সরকার। আজ রাজস্থান বিধানসভায় পাশ হয়ে গেলো ম্যারেজ রেজিস্ট্রেশন সংশোধনী আইন। এই আইনকে কেন্দ্র করে বিরোধীদের তীব্র তোপের মুখে পড়েছেন রাজস্থানের গেহলেট সরকার। রাজস্থানের বুকে এই আইনের ফলে সব বিয়ের রেজিস্ট্রেশন যেমন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে তেমনি বাল্য বিবাহের রেজিষ্ট্রেশনকেও মান্যতা দেওয়া হয়েছে।
বাল্য বিবাহের রেজিষ্ট্রেশনের অনুমতি দিয়ে এক কথায় তাকে আইনি বৈধতা দিয়েছে রাজস্থান সরকার। এই ঘটনায় রাজস্থানের গেহলেট সরকারকে তীব্র আক্রমণের মুখে তুলেছেন বিরোধীরা। এই আইনি সংশোধনকে কালা দিন বলে আক্রমণ শানিয়ে বিরোধীরা ওয়াক আউট করে বিধানসভায়।
রাজস্থান বিধানসভায় আইনি সংশোধনে বলা হয়েছে, বিয়ের সময় যদি কনের বয়স ১৮ বছরের নীচে হয় এবং বরের বয়েস যদি ২১ বছরের নীচে হয় তাহলে বিয়ের এক মাসের মধ্যে তার বাবা মাকে রেজিষ্ট্রেশন অফিসে জানাতে হবে। জানা গিয়েছে, ২০০৯ সালের ভারতীয় বিবাহ রেজিষ্ট্রেশন আইনের ৮ নম্বর ধারায় সংশোধন আনা হয়েছে।
এদিন রাজস্থান বিধানসভায় ব্লক ম্যারেজ রেজিষ্ট্রেশন অফিসার এবং জেলা ম্যারেজ রেজিষ্ট্রেশন অফিসার নিয়োগের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সব বিয়ের রেজিষ্ট্রেশন বাধ্যতামূলক বলে এই আইনে উল্লেখ করা হয়েছে। এদিকে বাল্য বিবাহের রেজিষ্ট্রেশনের মান্যতা দেওয়ার প্রতিবাদ জানিয়েছে বিরোধীরা। এই ঘটনায় রাজস্থান রাজ্যের ইতিহাসে কালোদিন বলে অভিযোগ করে বিধানসভা ওয়াকআঊট করে বিরোধীরা।
আর ও পড়ুন বিজেপিকে কটাক্ষ করলো শিবসেনা? সামনা মুখপত্রে কী বললো শিবসেনা
তবে রাজস্থানের গেহলেট সরকারের দাবি, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনেই এই ম্যারেজ রেজিষ্ট্রেশনের আইনে সংশোধন করা হয়েছে। উল্লেখ্য, রাজস্থানে বাল্য বিবাহের চল রয়েছে অনেক আগে থেকেই। সেই প্রথার কুপ্রভাব থেকে নারীদের বাঁচাতে একাধিক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা কাজ করে থাকে সেখানে।
কিন্ত সেখানে দাঁড়িয়ে রাজস্থান সরকারের এই ম্যারেজ রেজিষ্ট্রেশন আইন সংশোধনীতে বাল্য বিবাহের প্রবণতা আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। কারণ এটা আইনের চোখে আর অপরাধ থাকবে না। বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছে বিজেপি। বিজেপির অভিযোগ, কাগজে কলমে বাল্যবিবাহ দেওয়ার সুবিধা করে দিয়েছে গেহলেট সরকার।