স্কুল পরিদর্শক -এর অফিসে স্থানীয় বাসিন্দাদের বিক্ষোভ

স্কুল পরিদর্শক -এর অফিসে স্থানীয় বাসিন্দাদের বিক্ষোভ

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram

স্কুল পরিদর্শক -এর অফিসে স্থানীয় বাসিন্দাদের বিক্ষোভ। ফিরে যাচ্ছে স্কুল নির্মাণের টাকা। বিষয়টি জানতে পেরে স্কুল পরিদর্শক এর অফিসে বিক্ষোভ স্থানীয় বাসিন্দাদের। দীর্ঘক্ষণ বিদ্যালয় পরিদর্শকের চেম্বারে ঘেরাও করে রাখেন এবং বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। মালদার হরিশ্চন্দ্রপুর এলাকার ঘটনা। আধিকারিকের আশ্বাসে বিক্ষোভ উঠলেও টাকা ফেরত বলে বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি এলাকার বাসিন্দাদের। স্থানীয় সূত্রে জানা যায় হরিশ্চন্দ্রপুর ২ নম্বর ব্লকের সুলতান নগর গ্রাম পঞ্চায়েতের রাধিকাপুর ডোহরা এলাকায় নতুন করে একটি জুনিয়র হাই স্কুল নির্মাণের জন্য ৩৫ লক্ষ টাকা বরাদ্দ কড়েছিল রাজ্য সরকার।

 

কিন্তু সেই টাকা ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিষয়টি জানতে পেরে ক্ষুব্ধ ওই এলাকার গ্রামবাসীরা। তারা দাবি করেছেন এই টাকা কিছুতেই ফেরত দেওয়া চলবে না। ওই এলাকায় স্কুল নির্মাণ করতে হবে। এই নিয়ে তারা হরিশ্চন্দ্রপুর দক্ষিণ চক্রের বিদ্যালয় পরিদর্শক কে ঘেরাও করে। অবিলম্বে ওই এলাকার স্কুল নির্মাণ শুরু না হলে গ্রামবাসীরা বৃহত্তর আন্দোলনে শামিল হবে। এ নিয়ে তারা হরিশ্চন্দ্রপুর দক্ষিণ চক্রের বিদ্যালয় পরিদর্শক কে ঘেরাও করে অবিলম্বে ওই এলাকার স্কুল নির্মাণ শুরু না হলে গ্রামবাসীরা বৃহত্তর আন্দোলনে শামিল হবে।

 

যদিও হরিশ্চন্দ্রপুর দক্ষিণ চক্রের বিদ্যালয় পরিদর্শক তারক মন্ডল বলেন গ্রামবাসীদের দাবি দাওয়া শুনেছেন এবং তিনি আশ্বাস দিয়েছেন এই ব্যাপারে তিনি অবিলম্বে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলবেন। বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসীদের বক্তব্য হরিশ্চন্দ্রপুর ২ নম্বর ব্লক পিছিয়ে পড়া অঞ্চল। আর সুলতান নগর অঞ্চলের এই অংশে কোন জুনিয়র হাই স্কুল নেই। আমাদের দাবি স্কুল নির্মাণ হোক কোনো মতেই টাকা ফেরত দেওয়া সম্ভব নয়। অবিলম্বে দাবি কার্যকর না হলে আমরা বৃহত্তর আন্দোলনে শামিল হবো।

আর ও পড়ুন    আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করে জমি জবরদখল,তোলাবাজির অভিযোগ

যদিও গোটা ঘটনাকে তীব্র কটাক্ষ করেছে জেলা বিজেপি সম্পাদক কিষান কেডিয়া। লক্ষীর ভান্ডার সহ একাধিক প্রকল্পে টাকা দিতে দিতে রাজ্য সরকারের টাকা শেষ হয়ে যাচ্ছে। সিল টাকার যোগান ঠিক রাখতে স্কুলের টাকাও ফেরত যাচ্ছে। অন্যদিকে বিজেপির এই দাবি কে নস্যাৎ করেছেন জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক জম্মু রহমান। তিনি বলেন টাকা ফেরত যাওয়ার বিষয়টি দুর্ভাগ্যজনক। ওই এলাকাতে যাতে স্কুল নির্মাণ হয় তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top