দিঘাতে অশনি ঝড় মোকাবেলায় চলছে প্রস্তুতি। দিঘাতে অশনি ঝড়ের প্রভাব সরাসরি না পড়লেও যেহেতু দীঘা উড়িষ্যা উপকূলের কাছাকাছি রয়েছে তাই প্রবল জলোচ্ছাসের সম্ভাবনা রয়েছে দিঘায়। দীঘা জুড়ে চলছে প্রশাসনের তরফে রেস্কিউ মহড়া। আসন্ন অশনি ঝড় মুকাবেলায় এই মহড়া। আম্ফান ইয়াস ঝড়ের অভিজ্ঞতা সঞ্চার করে আগাম এই উদ্যোগ প্রশাসনের। গঠন করা হয়েছে বেশকিছু কুইক রেসপন্স টিম।
এই টিমের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে কাঠ কাটার করাত মেশিন,কুঠার, কাতান,কাছি ইত্যাদি। এডিএম এর নেতৃত্বে ব্লক প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনকে নিয়ে দিঘা বর্ডারের কাছে এই মহড়ার সূচনা করা হয়। ঝড়ের সময় আপৎকালীন গাছ পড়লে কিভাবে কাটতে হবে সরাতে হবে, পুরনো বাড়ি থেকে কিভাবে নিচু জায়গা থেকে উঁচু জায়গায় নিয়ে যাওয়া হবে সবই এই মহড়ায় দেখানো হয়েছে।
দীঘা ছাড়াও এদিন তাজপুর মন্দারমনি খেজুরি তে মহড়ার আয়োজন করা হয়।খেজুরীতে উপকূলবর্তী গ্রাম ও এলাকা সমুদ্র বাঁধ নদী বাঁধ পরিদর্শন করেন জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাঝি। দুর্বল বা বাঁধ গুলো মেরামতির কাজ শুরু হয়েছে। বিভিন্ন বহুমুখী ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে।সেগুলো তেও কিভাবে লোকজনদের সরাতে হবে তা প্রদর্শন করা হয় মহরার মাধ্যমে।
আর ও পড়ুন দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় ক্রমশ শক্তিশালী হচ্ছে
‘অশনি’র জেরে হওয়া বৃষ্টি কৃষিজমি এবং ফসল নষ্ট করতে পারে, এই আশঙ্কায় কৃষকদের জন্য ছ’দফা সতর্কতা জারি করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। ‘অশনি’র জেরে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের জেলাগুলিতে ১০-১৩ মে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে মৌসম ভবন। সে কথা মাথায় রেখেই পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কৃষকদের সতর্ক করা হয়েছে কৃষ দপ্তর থেকে।
নবান্ন থেকে ধানচাষিদের বলা হয়েছে পাকা ধান কেটে গুদামজাত করতে। পাশাপাশি, সবজি, তেল তৈরি হয়, এমন ফসল এবং ডাল চাষের জমি থেকে জমা জল দ্রুত বের করার ব্যবস্থা তৈরি করতে বলা হয়েছে। এ ছাড়াও আখ, পেঁপে, কলা জাতীয় যে সমস্ত ফলের ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, তা নিয়েও বেশ কিছু পরামর্শ দিয়েছে নবান্ন।