রাস্তার দুপাশে লাগানো সরকারি গাছ কেটে লোপাটের অভিযোগ পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে। পঞ্চায়েতের কাজ গাছ কাটা নয়, মুখ্যমন্ত্রীর স্পষ্ট নির্দেশের পরেও রাস্তার দুপাশে লাগানো সরকারি গাছ কেটে লোপাটের অভিযোগ পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে, গাছ কাটার বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ গ্রামবাসীদের। এই ঘটনা দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাট ব্লকের জলঘর গ্রাম পঞ্চায়েতের।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ গত প্রায় ৩ দিন ধরে রাস্তার পাশে থাকা বেশ কিছু সরকারি গাছ কাটার কাজ লেবার লাগিয়ে করাচ্ছেন জলঘর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান গোপাল মুর্মু। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ তারা গাছ কাটার লেবারদের মুখে শুনেছেন পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে ঝড়ে পড়ে যাওয়া গাছ কাটার নির্দেশ দেন জলঘর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান গোপাল মুর্মু। স্থানীয় বাসিন্দাদের এও অভিযোগ মরা গাছ বা ঝড়ে পড়ে যাওয়া গাছ বাদেও জ্যান্ত গাছ কেটে গত ৩ দিন ধরে তা গাড়িতে করে নিয়ে পাচার করা হচ্ছে৷ গাছ কাটা নিয়ে স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য বাদল সিংহ-ও জলঘর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন।
পঞ্চায়েত সদস্য গোপাল মুর্মু-র অভিযোগ মরা গাছ কাটা আগে হয়ে গেছে, ২০টি জ্যান্ত আকাশমনি গাছ কাটা হয়েছে, ভুতে নির্দেশ দিয়েছে, সরকারি গাছ কেটে লোপাট হয়ে যাচ্ছে। তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল গাছ কাটার কাজে নিযুক্ত লেবাররাও ক্যামেরার সামনে স্বীকার করে নেন জ্যান্ত গাছ কাটার কথাও। গাছে কাটার কাজে নিযুক্ত শ্রমিক সঞ্জিত বর্মন বলেন প্রধান নির্দেশ দিয়েছে গাছ কেটেছি, গ্রামবাসীরা বাধা দিলে গাছ কাটা বন্ধ করে দিয়েছি।
আরও পড়ুন – নন্দীগ্রামে দলীয় কর্মীদের সাথে প্রধানমন্ত্রী মন্কিবাদ শুনলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু!
তিনি বলেন বাছাই করে গাছ কাটার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান। যদিও জলঘর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান গোপাল মুর্মু-র বক্তব্য পঞ্চায়েতের সকল সদস্যদের অনুমতিক্রমে রেজুলেশন করে গাছ কাটার অনুমতি নেওয়া হয়েছিল। তিনি এও বলেন গতকালকে কিছু গাছ স্পট থেকে চুরি হয়ে যায়। এই ঘটনা চাউড় হতেই জেলার সাধারণ মানুষদের মধ্যে ক্ষোভের পারদ চড়তে শুরু করেছে চড়চড়িয়ে। স্থানীয় গ্রামবাসীদের মধ্যে অন্যতম উত্তম দে-র সাফ কথা সরকার কি ব্যবস্থা নেয় সেই দিকে তাকিয়ে আছি।