জয়পুর থানার পুলিশের আবারও বড়ো সাফল্য। গত ৮ বছর আগে বাঁকুড়ার জয়পুর ব্লকের গেলিয়া গ্রামে নিজের ভাইয়ের স্ত্রী ও দেড় বছরের ভাইজিকে খুন করে গা ঢাকা দেওয়া অভিযুক্ত প্রদীপ চ্যাটার্জীর গ্রেপ্তারির পাঁচ দিনের মাথায় গ্রেফতার হলো স্ত্রী অনিতা চ্যাটার্জি। জয়পুর থানার পুলিশ আবারও প্রমাণ করল পুলিশের দায়িত্ব। আগেই প্রদীপ চ্যাটার্জীকে গ্রেফতার করেছিল জয়পুর থানার পুলিশ। আর তার গ্রেফতারির পাঁচ দিন পার না হতেই গ্রেফতার করা হল প্রদীপ চ্যাটার্জির স্ত্রীকে। গেলীয়া গ্রামের সন্দ্বীপ চ্যাটার্জির স্ত্রী ও শিশু কন্যাকে খুন করে পালিয়ে যায় এবং নাম পরিবর্তন করে গা ঢাকা দেয় অভিযুক্ত স্বামী-স্ত্রী দুজনেই।
গত আট বছর ধরে জয়পুর থানার পুলিশ খোঁজ চালায় অভিযুক্তদের। অবশেষে বৃহস্পতিবার ২৪ পরগনার মথুরা থেকে অভিযুক্ত কে গ্রেফতার করে জয়পুর থানার পুলিশ। শুক্রবার তাকে বিষ্ণুপুর জেলা আদালতে পেশ করে পুলিশ। জানা গিয়েছে, গত ৮ বছর আগে পারিবারিক অশান্তির জেরে গেলিয়া গ্রামের বাসিন্দা সন্দ্বীপ চ্যাটার্জির স্ত্রী ও দেড় বছরের শিশু কন্যাকে খুন করে গর্তে পুঁতে দেয় তারই দাদা-বৌদি। তারপরই স্ত্রী কন্যাকে খুঁজে না পাওয়ায় জয়পুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন দাদা ও বৌদির নামে সন্দীপ চ্যাটার্জি। তারপর থেকেই নিখোঁজ ছিলেন প্রদীপ চ্যাটার্জী ও তার স্ত্রী অনিতা চ্যাটার্জী। সূত্র মারফত খবর পেয়ে দক্ষিণ ২৪ পরগনা মথুরা থানা এলাকায় নাম পরিবর্তন করে গা ঢাকা দেওয়া অভিযুক্ত প্রদীপ চ্যাটার্জীকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
আরও পড়ুন – সিপি(আই)এম র মিছিলে মানুষের ঢল
অভিযুক্ত প্রদীপ চ্যাটার্জীর গ্রেপ্তার হওয়ার পাঁচ দিন পার না হতেই গ্রেফতার করা হল এই মামলার অন্য অভিযুক্ত অনিতা চ্যাটার্জীকে। অবশেষে আট বছর পর স্ত্রী ও দেড় বছরের শিশু কন্যাকে খুন করে পালিয়ে যাওয়া অভিযুক্ত দাদা ও বৌদি গ্রেপ্তার হওয়াতে কান্নায় বুক ভাসালেন ভাই সন্দীপ চ্যাটার্জী। তিনি জয়পুর থানার পুলিশকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানান এবং বলেন, আট বছর দেরি লাগলেও পুলিশ গ্রেফতার করতে পেরেছে অভিযুক্ত দাদা-বৌদিকে। তাদের কঠোর শাস্থির দাবি জানান তিনি।