গড়চুমুক খুললেও খুলল না মিনি জু, ক্ষুব্ধ পর্যটকেরা

গড়চুমুক খুললেও খুলল না মিনি জু, ক্ষুব্ধ পর্যটকেরা

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram

গড়চুমুক খুললেও খুলল না মিনি জু, ক্ষুব্ধ পর্যটকেরা। দীর্ঘ ৭ মাস বন্ধ থাকার পর বৃহস্পতিবার থেকে গড়চুমুক পর্যটন কেন্দ্র খুললেও পর্যটন কেন্দ্রের ভিতরে থাকা মিনি জু না খোলায় হতাশ পর্যটকেরা। এমনকি পর্যটন কেন্দ্রের ভেতর সেভাবে পরিকাঠামো না থাকায় ক্ষোভে ফেটে পড়লেন পর্যটকেরা। অন্যদিকে পর্যটকদের ক্ষোভের কথা স্বীকার করে নিলেও পর্যটন কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত বেসরকারি সংস্থার কর্তাদের বক্তব্য মিনি জু না খোলার কারণে এই সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। তাদের দাবি মিনি জু খুলে দিলে পর্যটকদের এই সমস্যা মিটে যাবে।

 

দামোদর ও হুগলি নদীর সংযোগস্থলে গড়ে ওঠা গড়চুমুক পর্যটন কেন্দ্রের প্রাকৃতিক দৃশ্য ছাড়াও অন্যতম আকর্ষণ মিনি জু। যদিও গত কয়েক বছরে একাধিক প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে পর্যটন কেন্দ্রটির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হওয়ায় একাধিকবার এই পর্যটন কেন্দ্র কে বন্ধ করে দেওয়া হয়। পাশাপাশি পর্যটন কেন্দ্রটিকে নতুনভাবে সাজানো এবং মিনি জুয়ের উন্নতির জন্য কত মে মাস থেকে পর্যটন কেন্দ্রটি বন্ধ করে দেওয়া হয়।

 

এদিকে পর্যটন কেন্দ্রটি বন্ধ করে দেওয়ার পর সম্প্রতি পর্যটন কেন্দ্রের একটি অংশকে বার্ষিক ১৮ লক্ষ টাকা চুক্তিতে ১৫ বছরের জন্য একটি বেসরকারি সংস্থাকে লিজ দেওয়া হয়। পাশাপাশি মিনি জুয়ের অংশটি বন দপ্তরকে দেওয়া হয়। অন্যদিকে পর্যটন কেন্দ্রটি বেসরকারি সংস্থার হাতে যাওয়ার পর পর্যটকদের প্রবেশ মূল্য ১০ টাকা থেকে ১৫ টাকা বৃদ্ধি করা হয়েছে পাশাপাশি আগে ডিয়ার পার্কে ঘুরতে কোন টাকা না লাগলেও এখন থেকে মিনি প্রবেশের ক্ষেত্রে পর্যটকদের ২৫ টাকা করে দিতে হবে।

 

অপরদিকে বৃহস্পতিবার পর্যটন কেন্দ্র খোলার পরেই সকাল থেকেই বহু পর্যটন থাকেন এখানে। তবে পর্যটন কেন্দ্রে প্রবেশের পর মিনি জুন খোলা না থাকায় ক্ষোভে ফেটে পড়ে পর্যটকরা। তাদের অভিযোগ ১৫ টাকা দিয়ে পর্যটন কেন্দ্রে প্রবেশ করে শুধু মাত্র হাঁটা ছাড়া আর কিছুই করা যাচ্ছে না। তাদের অভিযোগ আগে পর্যটন কেন্দ্রে ঘোরার এবং বসার ব্যবস্থা থাকলেও এখন কিছুই নেই।

 

তাদের দাবি মেনে জুন না খুলে পর্যটন কেন্দ্র কোনভাবেই খোলা উচিত হয়নি। অন্যদিকে বেসরকারি সংস্থার কর্তাদের দাবি পর্যটন কেন্দ্রটি নতুনভাবে সাজানোর কাজ চলছে। নতুন করে বসার জায়গা তৈরি করার পাশাপাশি কটেজ গুলি কেউ সাজানোর কাজ চলছে। তাদের দাবি এবার থেকে পর্যটন কেন্দ্রের ভিতর পর্যটকরা বিনামূল্যে ওয়াইফার ব্যবহার করতে পারবে। তবে মিনি জু না খোলা হলে পর্যটকরা সেভাবে আসবে না বলে দাবি তাদের। অন্যদিকে বন দপ্তর সূত্রে খবর খুব শীঘ্রই মিনি জু খোলার চেষ্টা করা হচ্ছে।

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top