পাঁচ সংখ্যালঘু নেতার সঙ্গে জরুরি বৈঠকে মমতা, রিপোর্ট চান দ্রুত! সোমবার বিধানসভায় দলের পাঁচ সংখ্যালঘু নেতাকে নিয়ে বৈঠক করলেন মুখ্যমন্ত্রী। একটি কমিটিও তৈরি করে দেন। জানা গিয়েছে সাগরদিঘির ফল বিশ্লেষণ করে দ্রুত রিপোর্টও চেয়েছেন মমতা। সাগরদিঘি উপনির্বাচনে পরাজিত হয়েছে শাসক দল তৃণমূল। সেই বিপর্যয়ের পর শাসকদলের অন্দরে সংখ্যালঘু ভোট ধরে রাখা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। তাই কি বিপর্যয়ের দিন কয়েক পরেই সোমবার বিধানসভায় দলের পাঁচ জন নেতাকে নিয়ে বৈঠক করে বিশেষ কমিটি করে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়?
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার সাগরদিঘি উপনির্বাচনের ফলপ্রকাশের পর দেখা যায় সেখানে কংগ্রেস প্রার্থী বাইরন বিশ্বাসের কাছে ২২,৯৮০ হাজার ভোটে পরাজিত হয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। তার পরে রাজনীতির কারবারিদের একাংশের মধ্যে প্রশ্ন ওঠে তা হলে কি সংখ্যালঘু ভাঙন ধরেছে শাসকদলের? কারণ, ওই আসনে ৬৮ শতাংশ ভোটারই সংখ্যালঘু।
সোমবার বিধানসভায় মন্ত্রিসভার বৈঠক বসে। তার পরে পাঁচ নেতাকে নিজের ঘরে ডেকে পাঠান মমতা। তাঁরা সকলেই সংখ্যালঘু। গ্রন্থাগার মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী, সেচ প্রতিমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন, বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী আখরুজ্জামান, সংখ্যালঘু প্রতিমন্ত্রী গোলাম রাব্বানী ও জঙ্গিপুরের বিধায়ক জাকির হোসেন তাঁর ঘরে যান। সূত্রের খবর, বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী এই কমিটিকে সাগরদিঘি ভোটের বিপর্যয় নিয়ে একটি রিপোর্ট জমা দিতে বলেছেন। সঙ্গে গোটা রাজ্যের সংখ্যালঘু ভোট সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে পাঁচ মন্ত্রীকে দ্রুত কাজে নামতে বলেছেন বলেই সূত্রের খবর।
আরও পড়ুন – ‘পারমিশন আছে আপনাদের?’ শুভেন্দুর প্রশ্নে থতমত পুলিশকর্মীরা!
এই কমিটিকে প্রয়োজনে সাহায্য করার জন্য রাজ্যের দুই মন্ত্রীকেও দায়িত্ব দিয়েছেন মমতা। তাঁরা হলেন, ফিরহাদ হাকিম ও শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। তবে উল্লেখযোগ্য ভাবে এই কমিটিতে রাখা হয়নি জঙ্গিপুরের সাংসদ খলিলুর রহমানকে। তবে জায়গা পেয়েছেন জঙ্গিপুরের বিধায়ক জাকির।