ইডি-সিবিআই অপব্যবহার মামলা, কালই ১৪ বিরোধী দলের আবেদন শুনবেন প্রধান বিচারপতি

ইডি-সিবিআই অপব্যবহার মামলা, কালই ১৪ বিরোধী দলের আবেদন শুনবেন প্রধান বিচারপতি

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram

ইডি-সিবিআই অপব্যবহার মামলা, কালই ১৪ বিরোধী দলের আবেদন শুনবেন প্রধান বিচারপতি, সেন্ট্রাল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন বা সিবিআই এবং এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডির মতো কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থাগুলিকে বিরোধীদের কণ্ঠরোধে অপব্যবহার করা হচ্ছে। ১৪টি বিজোপি বিরোধী রাজনৈতিক দল এই বিষয়ে যৌথ আবেদন করেছে সুপ্রিম কোর্টে। বুধবারই (৫ এপ্রিল) সেই আবেদন শুনবেন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। একই সঙ্গে বিরোধী দলগুলি, বিরোধী নেতাদের গ্রেফতার, হেফাজতে নেওয়া, এবং শারীরিক ক্ষতি করে না এমন কোনও অপরাধের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের জামিন দেওয়ার বিষয়ে নির্দেশিকা নির্ধারণের আবেদনও করেছে। প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বে, বিচারপতি পিএস নরসিমা এবং বিচারপতি জেবি পর্দিওয়ালাতিন বিচারপতির বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হবে। এই চোদ্দটি রাজনৈতিক দলের হয়ে সিনিয়র আইনজীবী তথা কংগ্রেস নেতা অভিষেক মনু সিংভি আবেদনটি নথিভুক্ত করেছিলেন। এই মামলার জরুরি শুনানি চেয়েছিলেন তিনি।

 

 

 

 

 

যে ১৪টি রাজনৈতিক দল সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে তাদের মধ্যে রয়েছে জাতীয় কংগ্রেস, ডিএমকে, আরজেডি, বিআরএস, তৃণমূল কংগ্রেস, আপ, এনসিপি, শিবসেনা (ইউটিবি), ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা, জেডি (ইউ), সিপিআইএম, সিপিআই, সমাজবাদী পার্টি এবং ন্যাশনাল কনফারেন্স। আবেদনে বলা হয়েছে, এই ১৪টি রাজনৈতিক দল একসঙ্গে গত রাজ্য বা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের বিধানসভা নির্বাচনে মোট বৈধ ভোটের ৪৫.১৯ শতাংশ এবং ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে বৈধ ভোটের ৪২.৫ শতাংশ ভোট পেয়েছে। সব মিলিয়ে দেশের ১১টি রাজ্য বা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ক্ষমতায় আছে এই দলগুলি। তাদের দাবি, ইডিকে রাজনৈতিক বিরোধীদের ‘হয়রানির হাতিয়ার’ হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। বিরোধী দলগুলির যে রাজনীতিবিদদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়েছে ইডি, তাদের মধ্যে মাত্র ২৩ শতাংশের ক্ষেত্রে চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে। অন্যদিকে, ২০০৫ থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে ইডি যে সকল রাজনীতিবিদদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়েছিল, তাদের ৯৩ শতাংশের বিরুদ্ধেই চার্জশিট দায়ের করা হয়েছিল। এর থেকেই স্পষ্ট যে, ২০১৪ থেকে বিরোধী দলগুলির রাজনীতিবিদদের ভয় দেখানো এবং হেনস্থা করার জন্যই কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলিকে ব্যবহার করা হচ্ছে।

 

 

 

 

আরও পড়ুন – অরুণাচলের ১১ জায়গার নাম বদলে দিল চিন! এলাকাকে ‘জাংনান’ হিসাবে চিহ্নিত করা…

 

জরুরী শুনানির আবেদন করার সময়ে অভিষেক মনু সিংভি বলেছিলেন, ২০১৪ সাল থেকে যে সমস্ত রাজনৈতিক নেতাদের বিরুদ্ধে সিবিআই এবং ইডি তদন্ত করছে, তাঁদের শতকরা ৯৫ জনই বিরোধী দলের। তিনি বলেন, “আমি ভবিষ্যতের জন্য একটি নির্দেশিকা চাইছি।” ১৪টি রাজনৈতিক দলের যৌথ আবেদনে বলা হয়েছে, এমন নির্দেশিকা দেওয়া হোক, যা সংবিধানের অনুচ্ছেদে ২১-এর অন্তর্ভুক্ত ব্যক্তিগত স্বাধীনতার নিশ্চয়তার শর্ত পূরণ করে। আবেদনে বলা হয়েছে, “২০০৪ থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে (ইউপিএ সরকারের অধীনে) সিবিআই ৭২ জন রাজনৈতিক নেতার বিরুদ্ধে তদন্ত করেছিল সিবিআই। এর মধ্যে ৪৩ জন (৬০%-এর নীচে) ছিলেন তৎকালীন বিরোধী দলের। এখন, (এনডিএ সরকারের অধীনে) এই একই সংখ্যা রয়েছে ৯৫ শতাংশের উপরে। ইডি-র একই নকশা দেখা গিয়েছে। ”

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top