হিমাচলে আইনসিদ্ধ হতে পারে গাঁজার চাষ!

হিমাচলে আইনসিদ্ধ হতে পারে গাঁজার চাষ!

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram

হিমাচলে আইনসিদ্ধ হতে পারে গাঁজার চাষ!আইনি বৈধতা দেওয়া হলে সেই দৌরাত্ম্য নিয়ন্ত্রণে আনা যাবে। উত্তরাখণ্ডের পর হিমাচল প্রদেশেও কি আইনসিদ্ধ হতে চলেছে গাঁজার চাষ?এ বার তেমনই ইঙ্গিত দিল হিমাচলের মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিংহ সুখু।বিষয়টির আইনি দিকগুলি খতিয়ে দেখার জন্য শুক্রবার পাঁচ সদস্যের পরিষদীয় কমিটি গড়ার কথা ঘোষণা করেছেন তিনি। সুখু জানিয়েছেন, শাসকদল কংগ্রেস, প্রধান বিরোধী দল বিজেপি-সহ সব দলের বিধায়কেরা ওই কমিটিতে থাকবেন। সব কিছু ঠিক থাকলে গাঁজার চাষে বৈধতা দেওয়ার কথা ভাবছেন তাঁরা।

 

 

 

 

 

২০১৫ সালের নভেম্বরে উত্তরাখণ্ডে গাঁজার চাষে শর্তসাপেক্ষ সম্মতি দিয়েছিল সে রাজ্যের সরকার। এলাকার ঐতিহ্যের কথা মাথায় রেখেই এই আইন করা হয়েছিল। ভারতীয় সংস্কৃতিতে ধর্মীয় কারণে পুজোর উপচার হিসাবে গাঁজার ব্যবহারের প্রচলন আছে। এ ছাড়া ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানিগুলিও ওষুধ বানানোর উপকরণ হিসাবে মারিজুয়ানা (ক্যানাবিস) ব্যবহার করে থাকে।

 

 

 

গাঁজা চাষে আইনি বৈধতা অবশ্য ভারতেই প্রথম নয়। আমেরিকার বিভিন্ন প্রদেশ, ইউরোপের বিভিন্ন দেশে শর্তসাপেক্ষে গাঁজার চাষ বৈধ। যদিও অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তা ব্যবহার করা যায় শুধুমাত্র ওষুধ হিসেবেই। হিমাচলেও গাঁজা চাষে বৈধতা দেওয়া হলে, থাকতে পারে বেশ কিছু বিধিনিষেধ। বিশেষত পর্যটকেরা যাতে গাঁজায় টান দিতে না পারেন, সেই বিষয়টি নিশ্চিত করতে ভাবনাচিন্তা করা হচ্ছে বলে সরকারি সূত্রের ইঙ্গিত।

 

 

 

আরও পড়ুন –   ফুটপাতে হকারদের স্টলের পিছনে নোংরা কাপড়, অভিযোগ দৃশ্যদূষণের

 

 

হিমাচলে দীর্ঘ দিন ধরেই গাঁজা চাষকে আইনি বৈধতা দেওয়ার দাবি জানাচ্ছে বিভিন্ন সংগঠন। সরব হয়েছে রাজনৈতিক দলগুলিও। কুলুর প্রাক্তন বিধায়ক এবং বিজেপি রাজ্য সভাপতি মহেশ্বর সিংহ গাঁজা চাষে আইনি বৈধতা চেয়ে ২০১৮ সালে চিঠি দিয়েছিলেন তৎকালীন বিজেপি মুখ্যমন্ত্রী জয়রাম ঠাকুরকে। কুলুর বর্তমান কংগ্রেস বিধায়ক সুন্দর ঠাকুরও শর্তসাপেক্ষে গাঁজা চাষের অনুমতি দেওয়ার দাবি তুলেছিলেন বিধানসভায়।হিমাচলের মালানা এলাকার গাঁজা সারা পৃথিবীতে বিখ্যাত। শুধু গাঁজা নয়, গাঁজা গাছ থেকে বানানো মালানার চরসও সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়ে ড্রাগ মাফিয়াদের দৌলতে। রাজনৈতিক নেতাদের বড় অংশের মতে, আইনি বৈধতা না থাকায় বাড়ছে ড্রাগ মাফিয়াদের দাপট। আইনসম্মত ভাবে চাষ করা হলে ড্রাগ মাফিয়াদের দৌরাত্ম্য নিয়ন্ত্রণে আনা যাবে বলে মনে করছেন তাঁরা।

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top