রাত পোহালেই নীলষষ্ঠী,পুণ্যতিথিতে সন্তানের মঙ্গলকামনায় কী করবেন?

রাত পোহালেই নীলষষ্ঠী,পুণ্যতিথিতে সন্তানের মঙ্গলকামনায় কী করবেন?

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram

রাত পোহালেই নীলষষ্ঠী,পুণ্যতিথিতে সন্তানের মঙ্গলকামনায় কী করবেন? চৈত্র সংক্রান্তির আগের দিন পালিত হয় নীল ষষ্ঠী। বাংলার লোকায়ত ধর্মীয় উত্‍সবগুলির অন্যতম। এই বছর ১৩ এপ্রিল পালিত হবে নীল ষষ্ঠীর ব্রত। সন্তানের মঙ্গল কামনা করে এদিন নির্জলা উপবাস পালন করেন বাংলার মায়ের। নাম নীল ষষ্ঠী হলেও এদিন মহাদেবের আরাধনা করার প্রথা প্রচলিত রয়েছে। এই সময়ের প্রচণ্ড গরমে সারাদিন নির্জলা উপবাস করে সন্ধের পর নীলের ঘরে বাতি জ্বালিয়ে , অর্থাত্‍ মহাদেবের পুজো করে, তারপর উপবাস ভঙ্গ করা হয়ে থাকে। সন্তানবতী মায়েরা সন্তানের মঙ্গল প্রার্থনা এই ব্রত পবালন করেন বলে নীল ষষ্ঠীর সঙ্গে প্রচলিত কথা হল – ‘নীলের ঘরে দিয়ে বাতি, জল খাওগো পুত্রবতী।’

 

 

 

 

নীলষষ্ঠী ২০২৩ পুজোর সময়

১৩ এপ্রিল ২০২৩, বাংলা ক্যালেন্ডারে ২৯ চৈত্র ১৪২৯ বৃহস্পতিবার পালিত হবে নীল পুজো। অষ্টমী পড়বে বুধবার রাত ২.৩০ মিনিটে, থাকবে ১৪ এপ্রিল রাত ১২.১১ মিনিট পর্যন্ত।

 

 

 

নীল পুজোর উপকরণ

শিব মন্দিরগুলিতে এদিন মহিলাদের ঢল নামে। তবে অনেকেই বাড়িতেই মহাদেবের পুজো করে নীল ষষ্ঠীর ব্রত পালন করেন। শিবের পুজোয় খুব একটা বেশি উপকরণের প্রয়োজন পড়ে না। কথায় বলে, ‘তিনি একটি বেলপাতাতেই তুষ্ট’। তবে তাঁর পুজোয় কয়েকটি জিনিস ব্যবহার করলে খুশি হন ভোলেনাথ। জেনে নিন নীল ষষ্ঠীর পুজোর উপকরণ ,নীলের পুজোয় অবশ্যই পঞ্চামৃত দেবেন। এই পঞ্চামৃত হল দুধ, দই, ঘি, মধু ও চিনি। এর সঙ্গে একটু কালো তিল ও সিদ্ধি পাতা মিশিয়ে দিতে পারলে খুবই ভালো। এছাড়া গঙ্গা জল, আকন্দ ফুল, ধুতরা, নীল অপরাজিতা ও কাঁচা আম দিয়ে তাঁর পুজো করুন।

 

আরও পড়ুন –  ‘ঈশ্বরের আশীর্বাদ’ পেতে জ্বলন্ত কয়লার উপর হাঁটলেন বিজেপি নেতা সম্বিত পাত্র

 

 

 

 

নীল পুজোর পদ্ধতি

নীল ষষ্ঠীর পুজো করতে আপনি যদি মন্দিরে না যান, তাহলে বাড়িতেই এই পুজো সেরে নিন। মহাদেবের পুজোয় বেশি উপকরণের প্রয়োজন না পড়লেও মনের ভক্তি ও সম্পূর্ণ আত্মনিবেদন লাগে। সারাদিন উপোস করে সন্ধেবেলা শিবলিঙ্গে জল ঢালুন। প্রথম পঞ্চামৃত দিয়ে শিবলিঙ্গের অভিষেক করুন। তারপর গঙ্গাজল, ডাবের জল বা কাঁচা দুধ দিয়ে শিবলিঙ্গকে স্নান করান। এরপর অবশ্যই বেলপাতা অর্পণ করুন। দেখবেন, তিনটি পাতা যেন একসঙ্গে থাকে। সাদা চন্দন, ফুল ও কাঁদা আম নিবেদন করে পুজো করুন। সবশেষে সন্তানের মঙ্গল কামনা করে একটি ঘিয়ের প্রদীপ জ্বালিয়ে দিন। পুজোর পর প্রথমে প্রসাদ মুখে দিয়ে উপবাস ভাঙুন। তারপর রাতে সাবু, ফল, মিষ্টি ও ময়দার তৈরি নিরামিশ খাবার খেতে পারেন।

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top