কয়লা পাচার মামলায় অভিষেক-পত্নীকে তলব ইডির,

কয়লা পাচার মামলায় অভিষেক-পত্নীকে তলব ইডির, কয়লা পাচার মামলায় তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী রুজিরা নারুলা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তলব করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। ইডি সূত্রে খবর, আগামী বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় তাঁকে তদন্তকারী সংস্থার দফতর, সিজিও কমপ্লেক্সে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠানো হয়েছে।

 

 

 

 

এর আগে কয়লা পাচার মামলায় অভিষেক ও তাঁর স্ত্রী রুজিরাকে বেশ কয়েক দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ইডি। অতীতে ডায়মন্ড হারবারের তৃণমূল সাংসদ ও তাঁর স্ত্রীকে দিল্লিতে তলবও করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সমন পেয়ে দিল্লিতে ইডির দফতরে হাজিরা দিয়েছিলেন অভিষেক। তবে দিল্লিতে ইডি দফতরে হাজিরা দেননি রুজিরা। পরিবর্তে সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে (কলকাতায় যেখানে ইডির দফতর রয়েছে) হাজিরা দেন।

 

 

 

 

 

 

গত সেপ্টেম্বর মাসে অভিষেকের রক্ষাকবচ বহাল রাখে সুপ্রিম কোর্ট। তৃণমূলের ‘সেনাপতি’র বিরুদ্ধে কোনও কড়া পদক্ষেপ করা যাবে না বলেও নির্দেশ দেয় আদালত। তাঁর চিকিৎসার জন্য বিদেশ যাওয়ার ক্ষেত্রেও কোনও বাধা নেই বলে জানানো হয়।

 

 

 

 

সোমবার সকালেই কলকাতা বিমানবন্দরে রুজিরাকে আটকায় অভিবাসন দফতরের। সূত্রের খবর, দুই সন্তানকে নিয়ে তিনি দুবাইয়ের বিমান ধরার জন্য বিমানবন্দরে গিয়েছিলেন। বিমান ধরার আগেই তাঁকে ‘বাধা’ দেন অভিবাসন দফতরের কর্মীরা। বেশ কিছু ক্ষণ অপেক্ষা করার পর বিমানবন্দর ছেড়ে বেরিয়ে যান অভিষেক-পত্নী।

 

 

 

আরও পড়ুন –  দুর্ঘটনাগ্রস্ত করমণ্ডল এক্সপ্রেসের চার যাত্রীর দেহ এল রাজ্যে, শেষ শ্রদ্ধা জানালেন মমতা…

 

 

সকাল ৭টা নাগাদ দুই সন্তানকে নিয়ে বিমানবন্দরে পৌঁছন রুজিরা। দুবাইয়ের বিমান ধরার কথা ছিল তাঁর। বিমান ধরার আগেই অভিবাসন দফতরের কর্তারা তাঁকে বাধা দেন। অভিবাসন দফতর সূত্রের খবর, ইডির একটি মামলায় ‘লুক আউট’ নোটিস জারি হয়েছে রুজিরার নামে। তাই তাঁর বিদেশ যাওয়ার ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ রয়েছে বলে দাবি করেছে তারা। যদিও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠমহল সূত্রে খবর, ইডির ওই মামলায় সুপ্রিম কোর্ট অভিষেক এবং রুজিরাকে রক্ষাকবচ দিয়ে জানিয়েছিল, তাঁদের বিদেশযাত্রার ক্ষেত্রে কোনও বাধা নেই। তা সত্ত্বেও রুজিরাকে বিমানবন্দরে বাধা দেওয়ার বিরুদ্ধে অভিষেক আইনি পদক্ষেপ করতে পারেন বলে সূত্রের খবর। সে ক্ষেত্রে আবার আদালতের দ্বারস্থ হতে পারেন তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক।