অভিষেকের সভায় ছদ্মবেশে হাজির হওয়া মহিলার উপর হামলার অভিযোগে গ্রেফতার তৃণমূল নেতা।বৃদ্ধার ছদ্মবেশ ধারণ করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভায় হাজির হয়ে দলেরই এক নেতার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে সরব হয়েছিলেন প্রিয়াঙ্কা গোস্বামী।কিন্তু এরপর তো কোনও কাজ হয়নি।তার উপর আবার বহাল তবিয়তে ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন যার বিরুদ্ধে অভিযোগ সেই তৃণমূল নেতা আশীস দে।পঞ্চায়েত ভোটের টিকিট পাওয়ার পরই প্রিয়াঙ্কার উপর হামলার অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে।তবে ভোট মিটতেই গ্রেফতার আশীস।ওন্দার এই ঘটনায় চাঞ্চল্য।
ওন্দায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সভা করতে গেলে প্রিয়াঙ্কা গোস্বামী বৃদ্ধার ছদ্মবেশে হাজির হয়ে সভা শেষে চিৎকার করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নজর টানেন।সে সময় প্রিয়াঙ্কার কাছে অভিযোগ শুনে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় পুলিশ ও প্রশাসনকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন। কিন্তু তাঁর দাবি,এত কিছুর পরও অভিযুক্ত আশীস দে তৃণমূলের পদে থেকে গিয়েছিলেন বহাল তবিয়তে।সদ্য শেষ হওয়া পঞ্চায়েত নির্বাচনে দল তাঁকে প্রার্থীও করে। যদিও শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে হেরে যান আশীস।
বাঁকুড়ার ওন্দা ব্লকের তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক আশীস দে চাকরি দেওয়ার নামে প্রিয়াঙ্কার কাছ থেকে ৯৫ হাজার টাকা নিয়ে প্রতারণা করেছেন।এই অভিযোগ তুলেছিলেন তিনি।বারেবারে দ্বারস্থ হয়েছেন প্রশাসনের দরজায়।কিন্তু তারপরও পুলিশ ও প্রশাসন কোনও ব্যবস্থা না নেয়নি বলে অভিযোগ করেন তিনি। পরে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে অভিযোগ জানানোর সিদ্ধান্ত নেন প্রিয়াঙ্কা।
শনিবার ধৃত দুজনকেই বাঁকুড়া জেলা আদালতে পেশ করে পুলিশ। শেষ পর্যন্ত প্রিয়াঙ্কার অভিযোগের ভিত্তিতে আশীস দে কে পুলিশ গ্রেফতার করায় খুশি প্রিয়াঙ্কা ও তাঁর পরিবার।তাঁদের দাবি অবিলম্বে অভিযুক্তকে দলের সমস্ত পদ থেকে বহিষ্কার করা হোক। শুধু তাই নয়,আইন অনুযায়ী শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।যদিও,ধৃত তৃণমূল নেতা নিজের বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
আরও পড়ুন – আমতায় গিয়ে সুর চড়ালেন শুভেন্দু বললেন ‘আর একটা বগটুই করার চেষ্টা করেছে’
অভিযোগ ভোট মিটতেই গত ১২ জুলাই আশিস দে র নেতৃত্বে হামলা চালানো হয় প্রিয়াঙ্কার স্বামী সুব্রত গোস্বামীর উপর।স্বামীকে বাঁচাতে গিয়ে আক্রান্ত হন প্রিয়াঙ্কাও।বিষয়টি গত ১৩ জুলাই ওন্দা থানায় লিখিত ভাবে জানান প্রিয়াঙ্কা।এরপর গতকাল রাতে ওন্দা থানার পুলিশ অভিযুক্ত তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতার করে।একই সঙ্গে গ্রেফতার হন দোলন প্রামাণিক নামের অপর এক স্থানীয় তৃণমূল কর্মীকেও।