ভারতীয় বাঁদরের জ্বালায় ঘুম উড়েছে জিনপিংয়ের, উদ্বিগ্ন চিন, চিনে এবার লঙ্কাকাণ্ড। উদ্বেগ বাড়াচ্ছে ভারতীয় বিশেষ প্রজাতির বাঁদর। আন্তর্জাতিক মঞ্চে এই নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করল বেজিং। পাশাপাশি, ওই বাঁদরের সংখ্যা কমে যাওয়ায় চিন্তা বেড়েছে শি জিনপিংয়ের দেশের। কিন্তু কেন হঠাৎ ভারতীয় বাঁদর চিন্তা বাড়াচ্ছে চিনের? সূত্রের খবর, দীর্ঘদিন ধরেই নানা ধরনের জৈবিক হাতিয়ার তৈরির চেষ্টা চালাচ্ছে বেজিং। আর এই কাজে সাফল্য পেতে এতোদিন ভারতীয় বাঁদরের উপর পরীক্ষা নিরীক্ষা চালিয়ে এসেছেন চিনা গবেষকরা। সেটাই এবার হিতে বিপরীত হতে চলেছে বলে জানা গিয়েছে।
প্রাণী বিজ্ঞানীদের একাংশের দাবি, বিভিন্ন ধরনের ভাইরাস-ব্যাকটেরিয়ার পরীক্ষা নিরীক্ষা চালানোর জেরে ভারতীয় এই বাঁদরের কিছুটা জিনগত পরিবর্তন হয়েছে। এই বাঁদরগুলিই চিন জুড়ে সংক্রামক ব্যথি ছড়াতে শুরু করেছে। যা প্রতিরোধ করার উপায় আপাতত জানা নেই চিনা গবেষকদের। আর সেই কারণেই বাড়ছে উদ্বেগ।
অন্যদিকে জৈবিক হাতিয়ারের গবেষণার জন্য উত্তর -পূর্ব থেকে এতোদিন বিপুল পরিমাণে চোরাপথে বাঁদর আমদানি করত চিন। বর্তমানে মণিপুর অশান্ত হয়ে ওঠায় সেই রাস্তাও বন্ধ হয়ে গিয়েছে। ফলে অ্যান্টি ভাইরাসের পরীক্ষাও কিছুটা থমকে গিয়েছে বেজিংয়ের। যদিও মুখে এই সমস্ত অভিযোগ মানতে নারাজ শি জিনপিংয়ের দেশ। আলোচনা চক্রে পরিবেশ বাঁচাওয়ের কথাই বলছেন চিনা গবেষকরা। পাশাপাশি বিষয়টিতে গুরুত্ব দিচ্ছে ভারতের বন দফতর। ‘গিবনস’ সংরক্ষণে বেশ কিছু পদক্ষেপও করছেন তাঁরা।
জীব বিজ্ঞানীদের কথায়, বাঁদর মূলত Ape বা বনমানুষ প্রজাতির প্রাণী। বিশ্বের সমস্ত বাঁদরদের মধ্যে ‘গিবনস’ আকারে সবচেয়ে ছোট অথচ ক্ষিপ্র ও বুদ্ধিমান। বর্তমানে বিশেষ প্রজাতির এই বাঁদরের আনুমানিক সংখ্যা ১২ হাজারের আশেপাশে বলে সরকারি তথ্যে উল্লেখ্য় রয়েছে।
আরও পড়ুন – শর্তসাপেক্ষে জামিন পেয়ে গেলেন ব্রিজভূষণ, জামিন পেলেন ব্রিজভূষণ শরণ সিংহ
উল্লেখ্য, দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার ক্রান্তীয় দেশগুলিতে বিশেষ প্রজাতির এই বাঁদরের বাস। তবে সবচেয়ে বেশি ‘গিবনস’-র দেখা মেলে ভারতেই। দেশের উত্তর পূর্বের রাজ্যগুলির পাহাড়ি জঙ্গলে প্রচুর পরিমাণে রয়েছে ‘গিবনস’। ভারতে মোট ২০ প্রজাতির এই ধরনের বাঁদর রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।