রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত আরও চরমে! রাজ্যের একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ করলেন রাজ্যপাল,

রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত আরও চরমে! রাজ্যের একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ করলেন রাজ্যপাল, সূত্রের খবর, শিক্ষা দফতরের সঙ্গে কথা না বলেই একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ করলেন রাজ্যপাল তথা আচার্য সিভি আনন্দ বোস। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়, কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয় সহ একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে বুধবারই রাজভবনে একটি বৈঠক করেন রাজ্যপাল। জানা গিয়েছে, শিক্ষা দফতরের কোনও প্রতিনিধি ছিলেন না সেখানে। সেই বৈঠকের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই নিয়োগ করা হল উপাচার্য। উপাচার্য নিয়োগের জন্য সার্চ কমিটি রয়েছে রাজ্যের। সেই কমিটির সুপারিশ অনুযায়ীই উপাচার্য নিয়োগ করা হয়। তবে এ ক্ষেত্রে তেমনটা ঘটেনি বলেই অভিযোগ। আচার্যের এই একতরফা নিয়োগে শিক্ষা দফতর ক্ষুব্ধ বলেই সূত্রের খবর।

 

 

 

 

 

বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ পবিত্র সরকার রাজ্যপালের এই সিদ্ধান্তকে স্বেচ্ছাচারিতা বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, “রাজ্যপাল রাজ্যের পরামর্শ না নিয়ে নিয়োগ করছেন। এটা এক ধরনের স্বৈরাচার বলে মনে করি। রাজ্য সরকারের শিক্ষা দফতর উপাচার্য পদের জন্য রাজ্যপালের কাছে নাম সুপারিশ করে। সেই সব নিয়ম ভেঙে রাজ্যপাল যে ভাবে নিয়োগ করেছেন, তাকে স্বেচ্ছাচারিতা বলা যায়।”

 

 

 

 

 

 

তবে শিক্ষাবিদদের একটা বড় অংশ মনে করছে, রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাতে প্রভাবিত হচ্ছে শিক্ষা। জুটার সাধারণ সম্পাদক পার্থপ্রতিম রায় বলেন, রাজ্য সরকার পুরো শিক্ষা ব্যবস্থাকে নিয়ন্ত্রণ করতে চেয়েছিল। তারই ফল ভুগতে হচ্ছে আজ।

 

 

 

 

 

জানা গিয়েছে, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য পদে নিয়োগ করা হয়েছে অমিতাভ দত্তকে, যিনি যাদবপুরের সহ উপাচার্য ছিলেন। অমিতাভ দত্ত সহ বেশ কয়েকজন অভিজ্ঞ অধ্যাপককে বুধবার রাজভবনের বৈঠকে ডেকেছিলেন রাজ্যপাল। তাঁরা উপাচার্য হতে ইচ্ছুক কি না, তা জানতে চাওয়া হয়েছিল। সদ্য বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্যের মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছে। তারপরই তড়িঘড়ি এই বৈঠক করেন রাজ্যপাল।

 

 

 

আরও পড়ুন –  পয়সার অভাবে কারও পড়া আটকাবে না, ব্রাত্যকে কি পরামর্শ দিলেন মমতা?

 

 

এর আগে রাজ্যপাল বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের কাছ থেকে সাপ্তাহিক রিপোর্ট তলব করায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছিল শিক্ষা দফতর। আর এবার শিক্ষা দফতরকে না জানিয়ে নিয়োগ করে দেওয়ায় সংঘাত যে আরও চরমে পৌঁছল, তা বলার অপেক্ষা করে না।