প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। যাদবপুরে সিসিটিভি বসানো নিয়ে এবার সবপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করল কর্তৃপক্ষ।

প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। যাদবপুরে সিসিটিভি বসানো নিয়ে এবার সবপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করল কর্তৃপক্ষ। ‘ চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি’, বললেন বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসু।

 

প্রথম বর্ষের পড়ুয়ার মৃত্যুর জের। ইউজিসি-এর নির্দেশিকা মেনে সিসিটিভি বসছে যাদবপুরে। সরকারি সংস্থা WTL-কে বরাত দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। গতকাল, বৃহস্পতিবার ক্যাম্পাসে যান ওই সংস্থার আধিকারিকরা। কোথায় কোথায় সিসি ক্যামেবার বসবে, তা খতিয়ে দেখেন তাঁরা। সূত্রের খবর,  টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষ করে কাজ শুরু করতে সময় লাগবে ১৫ দিন।এদিকে Ragging  বৈঠকে সমাধান সূত্র নিয়ে সন্দিহান যাদবপুরের অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ। তিনি বলেন, ‘আগে বৈঠক হলেও সমাধানসূত্রে মেলেনি’। তাহলে? বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্যেক বিভাগ ও পড়ুয়াদের কাছে পরামর্শ চান উপাচার্য।

এদিকে ক্যাম্পাসে সিসিটিভি বসানো নিয়ে আপত্তি তুলেছে যাদবপুরের পড়ুয়াদের একাংশের। শুধু তাই নয়, ডেপুটেশন দিতে চেয়ে ঘেরাও করা হয় অন্তবর্তীকালীন উপাচার্যকে। পড়ুয়াদের সঙ্গে চলে কথা কাটাকাটি! শেষপর্যন্ত বিক্ষোভকারীদের দাবি মেনে সর্বপক্ষ নিয়ে বৈঠকে ডাকেন উপাচার্য। কবে? আজ, শুক্রবার।

যাদবপুরে রেজিস্ট্রার  র স্নেহমঞ্জু বসু জানান,  বৈঠকে কোন কোন জায়গায় সিসিটিভি বসবে এবং কে সিসিটিভি মনিটর করবে, জানতে চান পড়ুয়ারা। এমনকী, আপত্তি ওঠে ক্যাম্পাসে এক্স সার্ভিস ম্যান মোতায়েন নিয়েও!

তাহলে? রেজিস্ট্রার বলেন,  ‘সিসিটিভি বসানোর তো একটা সময় আছে। কারণ, আমরা আজকে বললাম, কালকে তো করতে পারে না। আমরা WTL-কে দিয়েছিলাম। তারা এসেছিল, বলেছে যে টেন্ডার করা হয়েছে। কমপক্ষে ১৫ দিন সময় লাগে, সেই সময় লাগবে। এর ফাঁকে আমাদের উপাচার্য স্যার নিশ্চয়ই বিশ্ববিদ্যালয়ের সবার সঙ্গে চূড়ান্ত করবেন স্ট্যাটেজিক লোকেশন। ইউজিসি যা বলেছে, আমরা সেটা বর্ণে বর্ণে পালন করব। এক্স সার্ভিস ম্যানের বিষয়টি এখনও চূড়ান্ত হয়নি’।