কালীঘাটের মেগা বৈঠকের পরে দলের বেশ কয়েকজন নেতাকে বিভিন্ন জেলার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। কোন জেলা  কে দেখবেন ?

কালীঘাটের  মেগা বৈঠকের পরে দলের বেশ কয়েকজন নেতাকে বিভিন্ন জেলার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। কোন জেলা  কে দেখবেন ? বছর তিনেক আগে পর্যবেক্ষক পদের অবলুপ্তি ঘটেছিল তৃণমূলে (TMC)। কালীঘাটের মেগা বৈঠকে কি ফিরে এল সেই পর্যবেক্ষক পদ? শুক্রবারের বৈঠক শেষে সামনে আসছে এমনই প্রশ্ন। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে শুক্রবারের বৈঠকে দিকে চোখ ছিল সব মহলেরই। সেই বৈঠকে দলের বেশ কয়েকজন নেতাকে বিভিন্ন জেলার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তবে তাঁদের জন্য পর্যবেক্ষক শব্দটা ব্যবহার করতে নারাজ তৃণমূল। কো-অর্ডিনেটর হিসেবে দায়িত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে বৈঠকে। দায়িত্ব পেয়েছেন ফিরহাদ হাকিম, অরূপ বিশ্বাস সহ একাধিক নেতা। বৈঠক শেষে সাংবাদিক বৈঠকে চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যকে এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, পর্যবেক্ষক পদ ফেরানো হয়নি। জেলাগুলি দেখভাল করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সেই দায়িত্বে বদলও হতে পারে পরবর্তীতে।

 

 

 

 

রাজনৈতিক মহলের একাংশ বলছেন নাম বদলে আদতে পর্যবেক্ষক পদই ফিরিয়ে আনতে চেয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। তবে দলের তরফে জানানো হয়েছে, সংগঠন মজবুত করতে প্রতি সপ্তাহে জেলাভিত্তিক বৈঠক করবেন মমতা।

 

 

এদিনের বৈঠকে বীরভূমের দায়িত্ব কাকে দেওয়া হবে? তা নিয়ে জল্পনা ছিলই। অনুব্রত মণ্ডলের বদলে শতাব্দী রায় বা কাজল শেখের হাতে দায়িত্ব যেতে পারে, এমনটাও ভেবেছিলেন কেউ কেউ। তবে তেমন কিছুই ঘটেনি। একদা অনুব্রতর গড় বীরভূম নিজের দায়িত্বেই রেখেছেন মমতা। সাংবাদিক বৈঠকে চন্দ্রিমাও জানিয়েছেন বীরভূমের দায়িত্ব আলাদাভাবে কাউকে দেওয়া হচ্ছে না।

 

 

আরও পড়ুন –সাগরদিঘিতে বদলি বিডিও-সহ চার আমলা ,বদলির নির্দেশ দিল নবান্ন 

 

 

কোন জেলায় কাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে?
সূত্রের খবর, হাওড়া ও হুগলির দায়িত্ব পেয়েছেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসকে দেওয়া হয়েছে নদিয়া, দার্জিলিং ও পূর্ব বর্ধমানের দায়িত্ব। এছাড়া মানস ভুঁইয়া দেখবেন পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রাম। বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমান ও পুরুলিয়ার সংগঠন সামলাবেন মলয় ঘটক। সাবিনা ইয়াসমিন ও সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীকে দেওয়া হয়েছে মালদহ, মুর্শিদাবাদ ও উত্তর দিনাজপুরের দায়িত্ব। আর দক্ষিণ দিনাজপুরের দায়িত্বে তাপস রায়। গৌতম দেবের নজরে থাকবে আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়ি।