শাসক বিধায়কের তোপে হইচই তৃণমূলের অন্দরে ,”আমাদের দলে অনেক বদমাশ ঢুকে পড়েছে “

শাসক বিধায়কের তোপে হইচই তৃণমূলের অন্দরে ,”আমাদের দলে অনেক বদমাশ ঢুকে পড়েছে “, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অস্বস্তিতে রাজ্যের শাসকদল। তার উপর গরু পাচার, কয়লা পাচার মামলাতেও কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার নজরে তৃণমূলের নেতামন্ত্রী এবং তাঁদের ঘনিষ্ঠরা। দুর্নীতি ইস্যুকে হাতিয়ার করে পঞ্চায়েত ভোটের শাসক শিবিরের বিরুদ্ধে জোরদার প্রচার শুরু করেছে বিরোধীরা। এই প্রেক্ষিতে দলীয় কর্মিসভা থেকে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করলেন তৃণমূল বিধায়ক তাপস রায়। তাঁর দাবি, শাসকদলের ছত্রছায়ায় কিছু ‘বদমাশ’ রয়েছে। তাদের জন্যই হয়েছে যত সমস্যা।

 

 

 

 

 

তাপস কি নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে দলের অন্দরের কাউকে ইঙ্গিত করলেন? তা স্পষ্ট নয়। তবে তিনি কর্মিসভায় যে খেদোক্তি করেছেন, তা আগেও শোনা গিয়েছে তৃণমূলে। তবে সে আলোচনা হয়েছে মূলত দলের অন্দরে। এ ভাবে প্রকাশ্যে আসেনি। দলের এক শ্রেণির নেতার জীবনযাত্রা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এমনকি গত বছর কলকাতায় একটি কলেজের অনুষ্ঠানে গান গাইতে এসে কেকের মৃত্যুর পর তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়ও প্রশ্ন তুলেছিলেন, এত টাকা আসছে কোথা থেকে? উল্লেখ্য, বলিউডের গায়ককে গাইতে নিয়ে এসেছিল তৃণমূলের ছাত্র সংগঠন। আর অতি সম্প্রতি কুন্তল ঘোষ, শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো অধুনা বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার হয়ে দলের অস্বস্তি বাড়িয়েছেন কয়েক গুণ। শুধু তাই নয়, দলের বাইরে দুর্নীতি মামলায় যাঁরা গ্রেফতার হচ্ছেন, জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হচ্ছেন, তাঁরা সকলেই শাসকদলের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত হচ্ছেন। এই নেতা এবং শাসকদলের ঘনিষ্ঠদের নিশানা করলেন তাপস?

 

 

আরও পড়ুন –রাহুলের মতো যাঁদের সাংসদ-বিধায়ক পদ খারিজ হয়েছে, দেখে নিন একনজরে

 

 

 

শনিবার খড়দহ বিধানসভা এলাকায় তৃণমূলের কর্মিসভার আয়োজন হয়েছিল। রবীন্দ্র ভবনে ওই সভায় তাপসকে খেদের সুরে বলতে শোনা যায়, “নিজের পায়ের তলার মাটি শক্ত করার জন্য অন্য দলের বদমাশগুলো আমাদের দলে ঢুকে পড়েছে। তারা চায় সরকারি দলের সঙ্গে থাকতে। তারা খুঁজেও পেল আমাদের কাউকে কাউকে। আর তারা ঢুকে পড়ল আমাদের দলে।’’ তৃণমূল বিধায়ক আরও বলেন, ‘‘তারা আমাদের দলে ঢুকে নিজেদের কাজ করছে। এই জায়গাটা আমরা আটকাতে পারিনি। যদি আটকাতে পারতাম, তা হলে আজ আমাদের এই পরিস্থিতি দেখতে হত না।”