‘একমাত্র মোদীই পারেন রাশিয়া-ইউক্রেনকে থামাতে’, মন্তব্য হোয়াইট হাউসের ,এক বছর পেরিয়ে গিয়েছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের। এর মধ্যে একাধিকবার দুই দেশের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে যুদ্ধে ইতি টানতে আলোচনা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এক বছর আগে ইউক্রেনে (Ukraine) সামরিক অভিযান শুরু করেছিল রাশিয়া (Russia)। তারপর বিগত এক বছর ধরে দুই তরফে একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, রক্তক্ষরণ, ইউক্রেনের ভূখণ্ডে রাশিয়ার জবর দখল। এই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের (Russia-Ukraine War) এক বছর পেরিয়ে গেলেও, একাধিকবার গোল টেবিলে দুই দেশের প্রতিনিধিরা বসলেও স্থায়ী মীমাংসা এখনও হয়নি। বিক্ষিপ্ত হামলা -জারি রেখেছে দুই দেশই। এই আবহে রাশিয়া-ইউক্রেনের মধ্যে শত্রুতার সমাপ্তিতে ভারতের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কথা তুলে ধরল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। রাশিয়া-ইউক্রেনের মধ্যে বিবাদ মেটাতে ভারতের ভূমিকাকে স্বাগত জানালেন হোয়াইট হাউসের সিকিউরিটি কাউন্সিলের মুখপাত্র জন কিরবি। তিনি বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ থামাতে পুতিনকে রাজি করাতে পারেন একমাত্র ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীই।
হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র বলেন, “আমরা যদি ভাবি আজই যুদ্ধ শেষ হতে পারে…তাহলে সেটা আজই শেষ হবে।” প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবারই মস্কোতে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে ঘণ্টা খানেকের বৈঠক করেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল। এই বৈঠকের পর ভারতীয় দূতাবাসের তরফে তাঁদের বৈঠকের কথা জানানো হলেও আলোচনার বিষয়বস্তু নিয়ে খোলসা করে কিছু বলা হয়নি। এই পরিস্থিতিতেই ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন থামাতে প্রধানমন্ত্রী মোদীর পদক্ষেপের কথা বললেন কিরবি।
আরও পড়ুন – রাজ্য সরকারের তরফে দেওয়া হয়েছিল বিনামূল্যে ট্যাবলেট কিন্তু বছর ঘুরতে না ঘুরতেই…
কিরবি আরও বলেছেন, “ইউক্রেনের বাসিন্দারা যা কিছুর মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন তার জন্য একজন ব্যক্তিই দায়ী। তিনি হলেন ভ্লাদিমির পুতিন। তিনি চাইলে এখনই তা বন্ধ করতে করতে পারেন। তা না করে তিনি বিভিন্ন শক্তি ও বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে যাচ্ছেন। যাতে ইউক্রেনের বাসিন্দারা আগের থেকে আরও বেশি কষ্ট পান।” প্রসঙ্গত, ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযান শুরু হওয়ার পর থেকে একাধিকবার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জ়েলেনস্কি ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। গত বছরে উজবেকিস্তানের সমরখন্ডে এসসিও সামিটের ফাঁকে মোদী পুতিনকে বলেন, “আমি জানি এটা যুদ্ধের সময় নয়। আমরা ফোনে এই বিষয় নিয়ে অনেকবার আলোচনা করেছি। সারা পৃথিবীকে ছুঁয়ে যায় গণতন্ত্র, কূটনীতি ও আলোচনা।” এবার ইউক্রেনে শান্তি ফেরানোর জন্য মোদীকেই কাণ্ডারি ভেবে নিয়ে তাঁর মধ্যস্থতাকে স্বাগত জানাল আমেরিকা।