কাঁঠাল চাষ করেও প্রচুর অর্থ অর্জন করা যায়

কাঁঠাল

কাঁঠাল চাষ করেও প্রচুর অর্থ অর্জন করা যায়। আমদের দেশের আদ্র আবহাওয়া কাঁঠাল চাষের জন্য খুবই উপযোগী। সাধারনত জল জমে না এমন উচুঁ জমিতে কাঁঠালের বাগান করতে হবে। ভালোমানের পাকা কাঁঠাল থেকে সুস্থ বীজ সংগ্রহ করে ২ থেকে ৩ দিন ছায়ায় শুকিয়ে বীজতলায় বীজ বপন করতে হবে।

 

কাঁঠাল গাছের চারা রোপন
আমদের দেশের আদ্র আবহাওয়া কাঁঠাল চাষের জন্য খুবই উপযোগী। সাধারনত জল জমে না এমন উচুঁ জমিতে কাঁঠালের বাগান করতে হবে। ভালোমানের পাকা কাঁঠাল থেকে সুস্থ বীজ সংগ্রহ করে ২ থেকে ৩ দিন ছায়ায় শুকিয়ে বীজতলায় বীজ বপন করতে হবে। এতে করে ২০ থেকে ২৫ দিনে চারা গজোবে। জ্যৈষ্ঠ মাসের মাঝামাঝি থেকে শ্রাবন মাসের প্রথম ১৫ দিনের মধ্যে দশ মিটার দূরত্বে মাদা করে চারা রোপন করতে হবে। প্রতি মাদায় ৩৫ কেজি শুকনো গোবর, টিএসপি ২১০ গ্রাম এবং এমওপি সার ২১০ গ্রাম করে দিতে হবে।
নতুন লাগানো চারা যাতে করে হেলে না পড়ে সেজন্য শক্ত লাঠি গেড়ে তার সাথে বেঁধে দিতে হবে।

 

জল সেচ, আগাছা পরিষ্কার ও সার প্রয়োগ-
শুষ্ক মৌসুমে গাছের গোড়ায় পরিমান মত জল সেচ দিতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে যেন বর্ষা মৌসুমে গাছের গোড়ায় জল না জমে, প্রয়োজনে বাগানের জল নিষ্কাশনের ব্যবস্থা রাখতে হবে। গাছের গোড়ায় আগাছা জন্মালে তা নিড়ানি দেয়ে পরিষ্কার করে পেলতে হবে। গাছে কাঠাল আসার দেড়-দুই মাস পূর্ব হতে জল সেচ দিতে হবে।
গাছপ্রতি ৩৫-৪০ কেজি পরিমাণ গোবর, ৩৫০ গ্রাম পরিমাণ ইউরিয়া, ৭৫ গ্রাম ফসফরাস, ৭৫ গ্রাম পটাস, এবং ১৫ গ্রাম সালফার বর্ষার পূর্বে প্রয়োগ করতে হবে। এবং বর্ষার পরেও একই পরিমান সার গাছপ্রতি প্রয়োগ করতে হবে।

 

আর ও পড়ুন    নিউটাউন হাজরা কালীবাড়ি মন্দিরে শিব পার্বতীর পুজো দিলেন দিলীপ ঘোষচাষ

 

রোগ ও ব্যবস্থাপনা
কাঁঠাল পচা রোগঃ এ রোগের আক্রমনে কাঁচা ফলের গায়ে বাদামি রঙ্গের দাগ দেখা দেয় এবং আক্রান্ত ফল গাছ থেকে ঝরে পড়ে।

 

করণীয়ঃ গাছের নিচে ঝরে পড়া ফল পুড়িয়ে পেলতে হবে এবং ছত্রাকনাশক ০.০৫ ভাগ হরে জলের সাথে মিশিয়ে গাছে ফুল আসতে শুরু করলে স্প্রে করতে হবে (১৫ দিন পরপর, মোট তিন বার)।

 

ছোট অবস্থাতেই কাঁঠাল কালো হয়ে ঝরে পড়লে করণীয়ঃ
চত্রাকের আক্রমন হলে কাঁঠাল ছোট অবস্থাতেই কালো হয়ে ঝরে পড়ে, এক্ষেত্রে ‘রিডোমিল এম জেড ৭৫’ প্রতি লিটার জলে ২.৫ গ্রাম হারে মিশিয়ে স্প্রে করলে ভালো ফল পাওয়া যাবে।